পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
দেশীয় টেক্সটাইল এবং স্পিনিং খাত এখন ধ্বংসের মুখে। বস্ত্র নিয়ে সূ² ষড়যন্ত্র আছে। আন্তর্জাতিক চালে আটকে যাচ্ছে এ খাত। গত কয়েক বছরে বহু টেক্সটাইল মিল (তাঁত) বন্ধ হয়ে গেছে। এখন একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সুতা কলগুলো। যেগুলো চালু আছে, তাদের উৎপাদিত সুতা বিক্রি হচ্ছে না। গোডাউনে সুতার পাহাড় জমছে কিন্তু সুতা তৈরির জন্য তুলা নেই। স্পিনিং মিলগুলোতে বর্তমানে আড়াই লাখ টন সুতা অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে বলে জানা যায়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। প্রায়ই এমন সংবাদ ছাপছে আমাদের পত্রিকাগুলো। আর্ন্তজাতিক চক্র অত্যন্ত সুকৌশলে বাংলাদেশে পুরো বস্ত্র খাতকে করায়ত্তে নিয়ে নেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলে শিল্প মালিকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। তারা যেভাবে সুতা, বস্ত্র ও গার্মেন্ট খাতকে ধীরে ধীরে গ্রাস করছে, তাতে আগামীতে ভিনদেশিদের একচেটিয়া ব্যবসার হাতে বাংলাদেশকে পুতুল হয়েই থাকেতে হবে। বিদেশি আগ্রাসনের ফলে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের স্পিনিং, টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট খাত ধ্বংস হয়ে পরনির্ভর হয়ে পড়বে। এদিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে মিল মালিকরা এখন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে ব্যস্ত। ঋণ খেলাপি হয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান রুগ্ন হয়ে পড়েছে; অনেক প্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ হয়ে গেছে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়েই। অন্যদিকে তুলার বাজার ঊর্ধ্বমুখী আর উৎপাদিত সুতার বাজার নিন্মমুখী। বেশি দামে আমদানিকৃত তুলা দিয়ে সুতা ও কাপড় তৈরি করে মিল মালিকরা এখন চোখে অন্ধকার দেখছে। ক্রেতার অভাবে তাদের গুদামে দীর্ঘদিন ধরে জমে আছে লাখ লাখ টন সুতা। এভাবে মাসের পর মাস লোকসান দিয়ে এবং ব্যাংকের ঋণ ও সুদ গুনতে গিয়েই বন্ধ হয়ে গেছে অসংখ্য স্পিনিং ও টেক্সটাইল মিল। আর দেশীয় সুতা ও বস্ত্র কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তৈরি পোশাক শিল্পেও পড়তে শুরু করেছে নেতিবাচক প্রভাব।
বৈধ-অবৈধ পথে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ কম দামের ভিনদেশি সুতা প্রবেশ করায় দেশীয় সুতার কারখানাগুলো অসম প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না। কারণ বাংলাদেশের সুতা কারখানার মালিকদের সার্ভিস চার্জ ও চক্রবৃদ্ধিসহ ব্যাংক ঋণের সুদের হার গুনতে হয় ২২ থেকে ২৩ শতাংশ পর্যন্ত, যা বিশে^র অন্য কোথাও নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রায়শই ব্যাংক ঋণের সুদের হার এক ডিজিটে কররার আহব্বান জানিয়ে আসছেন। তিনি হয়তো মনে করছেন, ব্যাংক ঋণ সহজলভ্য না হলে শিল্প টিকে থাকবে না। শিল্প টিকে না থাকলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। আরেকটা বিষয় আছে সেটা হলো, এ খাতে অধিকাংশ রাষ্ট্র মিলগুলোকে প্রণোদনা দিয়ে থাকে কিন্তু আমাদের সরকার পক্ষ থেকে এ খাতের জন্য কোনো ধরনের প্রণোদনা দেওয়া হয় না। স্পিনিং মিলগুলোকে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তুলা কিনতে হয় চড়া দামে। তুলা ক্রয়-বিক্রয়েও ঢুকে পড়েছে সিন্ডিকেট। শেয়ার বাজারের মতো তুলার দাম বাড়িয়ে দিয়ে সটকে পড়েছে ঐ চক্রটি। কয়েক বছর আগে যেখানে ৪০ থেকে ৫০ সেন্ট ছিল প্রতি পাউন্ড তুলা, সেখানে লাফিয়ে লাফিয়ে সেই তুলা উঠে আসে ২ ডলার ৫০ খেকে ৮০ সেন্টে। আবার বাড়তি দর তুলে দিয়েই সট্কে পরে প্রতারকরা। সেই তুলাই নেমে আসে ১ ডলার ৫০ সেন্টে। ফলে ভোক্তা স্পিনিং মিলগুলো বিপাকে পড়ে। আন্তর্জাতিক এই চক্রটি বাজারে তুলার কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কাগজেকলমেই বাড়িয়ে দেয় তুলার দাম। বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভোক্তার কাঁধে লোকশানের বোঝা চাপিয়েই সট্কে পড়ে তারা।
এদিকে চড়া সুদে ব্যাংক ঋণ নিয়ে গ্যাস-বিদ্যুতের চরম সংকটে বিপদে পড়েছেন স্পিনিং মিল মালিকরা। চাইলেই গ্যাস বিদ্যুত পায় না শিল্প মালিকরা। ৭/৮ বছর আগে নারায়ণগঞ্জের একটি প্রতিষ্ঠিত স্পিনিং মিল যেখানে ৪০ লাখ টাকা গ্যাস বিল দিতো সেখানে তার উৎপাদন কমে গেলেও গ্যাস বাবদ গুনতে হয় ৪ কোটি টাকা। ট্যাক্স, ভ্যাটও এখন আগের চেয়ে বহুগুণ বেশি দিতে হচ্ছে। ঐ প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন এখন কমেছে, সুতার দাম কমেছে কিন্তু গ্যাস-বিদ্যুতসহ সকল কিছুর দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। তাহলে কি করে টিকে থাকবে এ প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিকে এখন কোটি কোটি টাকা লোকসান দিয়ে যেমন সুতা বিক্রি করতে হচ্ছে, তেমনি বিপুল পরিমাণ সুতা অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এখন এটি রুগ্ন হয়ে বন্ধের অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে যেখানে ২ মাস আগেও ৫০ কাউন্টের সুতা বিক্রি হতো ২২০ টাকায় তা এখন ১৭০ টাকায়ও বিক্রি করা যাচ্ছে না। ৫৯ কাউন্টের সুতা নেমে এসেছে ২৪০ থেকে ২০০ টাকায়, ৮০ কাউন্টের সুতা ২৮০ টাকা থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। তাও আবার ক্রেতা মিলছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে স্পিনিং খাতের সব মিল অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এর আগে খোদ বিটিএমএ নেতারা পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছেন, ভারতের ২০টি বৃহৎ ব্যবসায়ী গ্রæপ বাংলাদেশের পোশাক খাত দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর দেশের একটি উচ্চ মহলও তাদের সহায়তা করছে। দেশীয় উদ্যোক্তাদের গ্যাস, বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে বিদেশিদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। তারা বলেন, গার্মেন্ট খাতে বিনিয়োগ করার মতো অনেক উদ্যোক্তা এ দেশেই রয়েছে। এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগের কোনো দরকার নেই। তারা শীঘ্রই সরকারকে উচ্চপর্যায়ের কমিটি করে বিশ্ববাজার পর্যালোচনার মাধ্যমে তুলা ও সুতার দাম হঠাৎ ওঠানামার কারণ অনুসন্ধান ও এ সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে নগদ সহায়তার হার ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ ও ভারত থেকে আসা কম দামের সুতা ও ফেব্রিক্স আমদানি বন্ধ করতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপেরও দাবি জানান।
এ দেশীয় ঐতিহ্যবাহী সুতা ও বস্ত্রশিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র যুগযুগ ধরেই চলছে। আজও থেমে নেই। একদা বিশ্বখ্যাত মসলিন, মলমল খাসের জন্য প্রসিদ্ধ বাংলার তাঁতশিল্প ও বয়ন উপযোগী সুতাকে সমূলে উৎখাতের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ যেভাবে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়েছিল, অনুরূপ অবস্থা বুঝি বিরাজ করছে বর্তমানেও। দেশি-বিদেশি চক্রান্ত স্বাধীনতার পর এ দেশের পাট খাতকে ধ্বংস করে। এককালে সোনালি আঁশ হয়ে যায় কৃষকের গলার ফাঁস। এখন স্পিনিং, টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট খাতকে ধ্বংস করার জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্র চলছে। আর এ খাত ধ্বংস হলে কয়েক কোটি মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়বে। বহু শিল্পকারখানা ভাংচুর হবে। সেই সঙ্গে দেশের অর্থনীতির চাকা বন্ধ হয়ে যাবে। টেক্সটাইল ও সুতা শিল্পে ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও এ খাতের উদ্যোক্তারা আজ পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এমতাবস্থায় এক সময় সবগুলো সুতা মিল বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর স্বাভাবিকভাবেই ধ্বংস হবে গার্মেন্ট শিল্পও। আর সে সুযোগে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক খাতের বাজার দখল করবে ভারতসহ কয়েকটি দেশ।
এ কথা কোন রাগঢাক না রেখেই বলা যায়, ভারতসহ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের সুতা ও বস্ত্র খাতের বাজার পুরোপুরি দখলে নিতে সুকৌশলে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। একদিকে তারা এ খাতকে দিচ্ছে আকর্ষণীয় প্রণোদনা (ইনসেনটিভ) সুবিধা, অন্যদিকে ব্যাংক ঋণের সুদের হারও রেখেছে সর্বনি¤œ। ফলে ভারতীয় সুতা কলগুলোর উৎপাদন খরচ বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম পড়ছে। কেজিপ্রতি তারা ৫ ডলার থেকে ৫ ডলার ২০ সেন্ট দরে বিক্রি করছে। আর নানা বৈধ-অবৈধ পথে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণে এই কম দামের সুতা প্রবেশ করায় দেশীয় সুতার কারখানাগুলো অসম প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না। কারণ, বাংলাদেশের সুতা কারখানার মালিকদের সার্ভিস চার্জ ও চক্রবৃদ্ধিসহ ব্যাংক ঋণের সুদের হার গুনতে হয় ২২ থেকে ২৩ শতাংশ পর্যন্ত। আবার সরকারের পক্ষ থেকে এ খাতের জন্য কোন প্রকারের প্রণোদনা দেয়া হয় না। ফলে সব মিলিয়ে দেশীয় মিলগুলোর অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার পথে।
বিশেষভাবে উলেখ্য যে, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন চলতি বছর থেকে তৈরি পোশাকের জন্য জিএসপির নতুন যে শর্ত দিয়েছে, তাতে স্পিনিং ও টেক্সটাইল শিল্প খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমদানি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে বিদেশি সুতা ও বস্ত্রের। পাশাপাশি দেশীয় সুতার বাজারে ভারতীয় আগ্রাসনে বিপর্যস্ত দেশীয় স্পিনিং শিল্প।এ দিকে ইইউতে জিএসপির নতুন শর্তে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। কয়েক বছর ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে জিএসপি সুবিধার শর্ত পরিবর্তন করেছে। এর ফলে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশের স্পিনিংসহ টেক্সটাইল খাতের উদ্যোক্তারা। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জিএসপি সুবিধা পেতে পণ্য রূপান্তরের শর্ত দু’ধাপ থেকে এক ধাপে নামিয়ে এনেছে। এতদিন ইউরোপীয় ইউনিয়নে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের পোশাক রফতানিকারকরা দেশে উৎপাদিত কাপড় ও সুতা ব্যবহার করত। তাদের সুতার চাহিদার বেশির ভাগই পূরণ করত দেশীয় স্পিনিং মিলগুলো। কিন্তু জিএসপির শর্ত পরিবর্তন করায় এখন বিদেশ থেকে সুতা ও কাপড় আমদানি করে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। শুধু সেলাই করেই পোশাক ইউরোপে শুল্কমুক্তভাবে রফতানি করতে পারছে তারা। পোশাক প্রস্তুতকারকরা কাপড় ও সুতা ব্যাপকভাবে আমদানি করছে। ইতিমধ্যেই বিদেশি সুতা ও কাপড়ে ছেয়ে গেছে বাংলাদেশ। ফলে ভয়াবহ সংকটের মধ্যে পড়েছে দেশের সুতা তৈরির মিলগুলো। সুতার আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দেশে বিপুল পরিমাণ সুতা অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মিল মালিকরা বাধ্য হয়েই উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে স্টক লটের সুতা বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। বেশির ভাগ স্পিনিং মিল মালিক উচ্চমূল্যে তুলা রফতানি করে, উচ্চ সুদে ব্যাংক ঋণ নিয়ে সুতা তৈরি করে বসে আছেন, কিন্তু ক্রেতা পাচ্ছেন না। ফলে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে সুতার মিল মালিকদের। তাদের হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ভেস্তে যাচ্ছে। চোখে সর্ষেফুল দেখছেন তারা। অথচ দেশের ৮০ শতাংশ কাপড়ের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করছে আমাদের দেশের তাঁত শিল্প। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তাঁতিসমাজে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে। শ্রমিকদের বেকার হওয়ার বিষয়টি যেমন অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিতে হবে, তেমনি তাঁত শিল্প বাঁচানোর উদ্যোগও নিতে হবে। দেউলিয়া হওয়ার আগে প্রণোদনার ব্যবস্থা না করলে তাঁত শিল্প ও শ্রমিক বাঁচানো সম্ভব হবে না। অনেকেই মনে করেন, আমাদের তাঁত শিল্প বাঁচুক এটা প্রতিবেশী দেশ চায় না। তারা বাংলাদেশকে বাজার হিসেবে পেতে শিল্প-আগ্রাসনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।