বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একাডেমিক কাউন্সিলের কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ¯œাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি’র একক ক্ষমতা বলে সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার যে নীতিমালা তার ৪.৪ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে, ভর্তি কমিটির সুপারিশকৃত ভর্তি নীতিমালা একাডেমিক কাউন্সিল দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। সবসময় এই নিয়মে অনুস্মরণ করা হলেও এবার তার ব্যতিক্রম করেছেন ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মো. আবুল কাশেম।
এমনকি ¯œাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়নেও নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন ভিসি। বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার বছর ২০১০ সাল থেকে শুরু করে প্রতিটি ভর্তি পরীক্ষার মডারেশনে মৌলিক বিজ্ঞান (পদার্থ, রসায়ন ও গণিত) ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের রাখা হলেও এবার শুধু গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছাড়া অন্য কোনো বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের রাখা হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিশ^বিদ্যালয়ের সর্বশেষ একাডেমিক কাউন্সিল হয়েছিল গত ৩০ জুলাই। সেই কাউন্সিলের কার্যপত্রের কোথাও ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ের অনুমোদনের বিষয়ে উল্লেখ নেই। তারপর এখন পর্যন্ত আর কোনো একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকেননি ভিসি।
বিশ^বিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের বহিসদস্যদের অভিযোগ এভাবে সবাইকে পাশ কাটিয়ে ভিসি একা ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নিয়মের ব্যতয় ঘটিয়েছেন। একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যদের সন্দেহ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতেই ভিসি এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছেন।
এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি ও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি প্রফেসর মো. আবুল কাশেমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেস্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি বিষয়টি নিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. মনিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, এ বছর বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৮ হাজার ২শ’ ৩ জন পরীক্ষার্থী। তেজগাঁওয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস ছাড়াও রাজধানীর আরো তিনটি কেন্দ্রে শুক্রবার একযোগে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।