মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে সিএএ ও এনআরসি নিয়ে এখনো বিক্ষোভ চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের আনা এই আইনগুলোর ফলে ভারতে বসবাসকারী মুসলমানরা নির্যাতিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আতেঙ্কের কারনে ভারত অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসার ঘটনা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫০ লাখ কথিত বাংলাদেশি মুসলিমকে ফেরত পাঠানো হবে।
গত সোমবার প্রকাশিত ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি) এর সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে যাওয়ার পথে অবৈধ লোকের সংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৮ সালে, বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য ২ হাজার ৯৭১ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল, যখন ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১ হাজার ৮০০ জন। এনসিআরবি জানিয়েছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১ হাজার ৫৩২ জন পুরুষ, ৭৪৯ জন মহিলা এবং ৬৯০ শিশু। অন্যদিকে, রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা কিছুটা কমে গিয়েছে। ২০১৭ সালে, এই সংখ্যা ১ হাজার ১৮০ জন, ২০১৮ সালে সেই সংখ্যা ১ হাজার ১১৮ জনে পৌঁছেছে।
এনসিআরবি-র রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মেরোজাম ও আসামে বিএসএফ জওয়ানরা গ্রেপ্তারকৃতদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে উল্লেখ করেনি। তবে বলা হচ্ছে যে, সীমান্ত পেরিয়ে আসা মানুষের সংখ্যাতে এই বৃদ্ধি আসামের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধকের (এনআরসি) দ্বিতীয় তালিকার পরে এসেছে।
এদিকে, গত রোববার উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় সিএএ ও এনপিআরের সমর্থনে সভাসমাবেশে দিলীপ ঘোষ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, সরকার দেশজুড়ে এনআরসি চালু করতে বদ্ধ পরিকর। তার হুশিয়ারি, ভিন্ন সম্প্রদায়ের ৫০ লাখ অনুপ্রবেশকারী, যারা ওপার বাংলা থেকে এ দেশে এসে ঘাঁটি গেড়েছেন, তাদের চিহ্নিত করে প্রথমে ভোটার কার্ড থেকে নাম কাটা হবে। তার পরে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। দিলীপ ঘোষের ভাষ্য, এই মুসলিমরা সরকারের দেয়া দু’রুপি দরে ভর্তুকির চাল হজম করে দিচ্ছে। এরাই রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনায় যুক্ত। তার মতে, যারা সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছেন তারা আসলে বাঙালি-বিরোধী এবং ভারত-ভাবনার বিরোধী। তাই তারা হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিরোধীতা করছে। এদিন সিএএ-এর সমর্থনে নৈহাটিতে এক সভায় দিলীপ ঘোষ বলেন, যারা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নষ্ট করবে, তাদের গুলি করে মারা হবে। আমরা ক্ষমতায় এলে গুলির পর গোলাও চালাবো। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।