মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিদানকারী মোদি সরকারের গত পাঁচ বছরের শাসনে দেশের যা হাল হয়েছে তাতে উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলির তালিকায় ক্রমশ পিঁছিয়ে পড়ছে ভারত। এমনই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। গত এক বছরে প্রায় প্রতি তিনমাসে আন্তর্জাতির মুদ্রা তহবিলে ভারতের অর্থনীতির মান পড়েছে। পতন হতে হতে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে ভারতের অর্থনীতি। প্রবল সংকট জনক অবস্থায় চলে গেছে দেশ। আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের অর্থনীতির মান ক্রমশ পড়ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। এই পতন থেকে বাঁচতে ভারত সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে বলেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। ধনীরা আরও ধনী হয়েছে। ভারতের আর্থিক মান যে তলানিতে এসে ঠেকেছে তার বড় প্রমাণ গত এক বছরে ভারতে ধনীরা আরও ধনী হয়েছে। ধনী দরিদ্রের ফারাক প্রকট আকার নিয়েছে। সেই ফারাক মেটানো প্রবল সংকটে। জিডিপি বৃদ্ধি কমেছে। ম‚দ্রাস্ফীতি বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। আরবিআইয়ের দেওয়া মাত্রা অতিক্রম করেছে মুদ্রাস্ফীতি। এমনই কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে ভারতেকে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী সরকার। কিন্তু দেশের যা হাল তাতে সেটা একেবারেই সম্ভব নয় বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এমনকি দেশের আর্থিক সংকট প্রবল আকার নিয়েছে। হাত পড়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তহবিলেও। ভারতের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের সম্পত্তির তুলনায় চার গুণ বেশি সম্পদের মালিক দেশটির মাত্র ১ শতাংশ ধনী। যা দেশটির প্রতি বছরের আর্থিক বাজেটের চেয়েও বেশি। বিখ্যাত অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গঠিত সংস্থা ‘অক্সফাম’ এর এক প্রতিবেদনে ভারতে আর্থিক বৈষম্যের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। সংস্থাটির মতে, ভারতসহ গোটা বিশ্বেই আর্থিক বৈষম্য অত্যন্ত প্রকট। অক্সফামের ‘টাইম টু কেয়ার’ নামে এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ১৯ অর্থবছরে ২৪,৪২,২০০ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় বাজেটের থেকেও বেশি সম্পত্তি রয়েছে মুকেশ অম্বানী, আজিম প্রেমজি, সুনীল মিত্তলদের মতো দেশের ৬৩ জন ধনকুবেরের হাতে। অক্সফাম জানিয়েছে, বিশ্বের ৪৬০ কোটি বা ৬০ শতাংশ মানুষের কাছে যা সম্পত্তি রয়েছে, তার থেকেও বেশি সম্পদ রয়েছে ২ হাজার ১৫৩ জন ধনীদের কাছে। সোমবার থেকে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ৫০তম বার্ষিক সম্মেলনের আগেই এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে অক্সফাম। আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, ভারতে অর্থনৈতিক ঝিমুনির প্রভাবে ধাক্কা খাবে বিশ্বের উন্নয়নও। এমনটাই মনে করে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ)। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন আইএমএফের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ। তার মতে, ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী হওয়ায় তা বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেনে নামাবে আরও ‘০.১’ শতাংশ নীচে। এ দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার নিয়ে পূর্বাভাস করতে গিয়ে আইএমএফ তা দাঁড় করিয়েছে ৪.৮ শতাংশে। ওই পূর্বাভাসে গত তিন মাসের মধ্যেই যা নেমে গিয়েছে ১.৩ শতাংশ নীচে। ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ছাড়াও এ দেশের সামাজিক পরিস্থিতি নিয়েও পর্যবেক্ষণ রয়েছে আইএমএফের। নাগরিকত্ব নিয়ে নয়া আইন (সিএএ)-র বিরুদ্ধে দেশজোড়া বিক্ষোভের দিকে নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছে তারা। শুধু তা-ই নয়, এপ্রিলে তা নিয়ে পর্যালোচনাও করবে তারা। এবিপি, এনডিটিভি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।