মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত হলেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা জগৎ প্রকাশ (জেপি) নাড্ডা। গত একবছর ধরে দলের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পালন শেষে গতকাল দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে দায়িত্ব অর্পণ করেন বিজেপির সদ্য সাবেক সভাপতি অমিত শাহ।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আগামী তিন বছরের জন্য জেপি নাড্ডা নামে পরিচিত ওই বিজেপি নেতা ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী দলটির সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন। গতকালসকাল সাড়ে ১০টায় দলের সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা পর সকাল ১১টায় তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
অন্য কেউ ওই পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা না করায় ভোটাভুটি ছাড়াই দুপুর তিনটার দিকে দলের সভাপতি হিসাবে জেপি নাড্ডার নাম ঘোষণা করেন রাধামোহন সিংহ। বিজেপির সদর দফতরে তখন হাজির ছিলেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নিতিন গড়করীসহ বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। আরও ছিলেন বিজয় রুপানি, বিজয় গোয়েল, বাবুল সুপ্রিয়রাও।
এতদিন বিজেপির সভাপতি পদ সামলেছেন অমিত শাহ। কিন্তু গত বছর লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হলে তার মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন অমিত শাহ। একসঙ্গে দুই দায়িত্ব সামলানো সম্ভব নয় বলে গত বছর জুন মাসেই তিনি নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে বিষয়টি জানান।
অমিত শাহ’র ওই চিঠির পর থেকেই তার উত্তরসুরি হিসেবে দলের বর্ষীয়ান নেতা জেপি নাড্ডার নাম শোনা যাচ্ছিল। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে জেপি নাড্ডা বিজেপির সভাপতি হলেও, দলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ অমিত শাহ’র হাতেই থাকবে বলে দাবি দেশটির সমালোচকদের। তবে বিজেপি সমালোচকদের ওই অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে অমিত শাহ’র মেয়াদ শেষ হলেও বিভিন্ন কারণে তাকে দায়িত্বে রাখা হয়। পরে অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করলে জেপি নাড্ডাকে দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি করা হয়। গত জুলাই থেকে নাড্ডা বিজেপির সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি হিসেবে কাজ করছিলেন।
বেশ কঠিন সময়ে দলের দায়িত্ব নিলেন জেপি নাড্ডা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) ইস্যুতে ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে গেরুয়া শিবির এখন বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে। বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব ভারতের অনেক রাজনৈতিক দল।
বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছাত্র ও পেশাজীবী সংগঠন। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব বুদ্ধিজীবীদের একটি বড় অংশ। এমন সময়ে সভাপতির দায়িত্ব জেপি নাড্ডার জন্য বেশ বড়সড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। সূত্র : এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।