মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর আফ্রিকার যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ লিবিয়াতে অস্ত্র বা সেনা পাঠাবে না কোন দেশ। রোববার জার্মানির উদ্যোগে বার্লিনে অনুষ্ঠিত ‘লিবিয়া সম্মেলন’ শেষে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যেখানে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত থেকে এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন।
জার্মান রাজধানীতে এই সমাবেশে তুরস্ক, রাশিয়া, মিশর, ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তারা যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলজেরিয়া, চীন, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ও আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার সরকার (জিএনএ) প্রধান ফয়েজ আল-সররাজ ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী সামরিক কমান্ডার খলিফা হাফতার সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু তারা মুখোমুখি আলোচনায় বসতে রাজি হননি। জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেল জানিয়েছেন, আলাদা আলাদা করে দু’পক্ষের সঙ্গেই তাদের আলোচনা হয়েছে। শান্তি স্থাপনে তারা সহমত পোষণ করেছেন। যুদ্ধ নয়, আলোচনার মাধ্যমেই যে সমাধান সূত্রে পৌঁছতে হবে, সে কথা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে দুই পক্ষকেই।
গত কয়েক বছর ধরেই অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে জর্জরিত লিবিয়াসহ উত্তর আফ্রিকার বেশ কিছু দেশ। বার বার অভিযোগ ওঠে, ওই সমস্ত সংঘর্ষ থেকে মুনাফা করার চেষ্টা করে ইউরোপের কোনও দেশ এবং সংস্থা। অভিযোগ রয়েছে আমেরিকার বিরুদ্ধেও। বলা হয়, এই সমস্ত দেশ এবং সংস্থা অস্ত্র এবং অন্যান্য সামরিক সাহায্য করে বিবাদমান পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ জারি রাখে। বার্লিনে লিবিয়া সম্মেলনে এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই দীর্ঘ আলোচনা হল।
শেষ পর্যন্ত মার্কেল যে প্রস্তাব পাঠ করলেন, তাতে স্পষ্ট করে বলে দেয়া হল, কোনোভাবেই যাতে অস্ত্র দিয়ে ওই সমস্ত দেশকে সাহায্য করা না হয়, তাদের দিকে কড়া নজর রাখা হবে। অস্ত্র ভারসাম্য নীতি কিংবা অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ এর আগেও বহুবার বিভিন্ন সম্মেলনে আলোচিত হয়েছে। জাতিসংঘ একাধিকবার এ সমস্ত বিষয়ে প্রস্তাব পাশ করেছে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন সব সময় ঘটেনি। কারণ অস্ত্র অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা।
সমীক্ষা বলছে, গত বছরেও বিশ্ব জুড়ে অস্ত্রের বাজার বড় হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের অস্ত্র বিক্রি করে লাভ বেড়েছে। কয়েক গুণ বেড়েছে অস্ত্র প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির মুনাফা। এমন পরিস্থিতিতে জার্মানির সম্মেলনে যে প্রস্তাব গ্রহণ করা হল, বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এমনকি, ওই সম্মেলনেও এই প্রশ্ন উঠেছে। উত্তরে সম্মেলনে যোগ দেওয়া দেশগুলি দাবি করেছে, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে যাতে কড়া নজরদারি হয়, সে বিষয়েও আলাদা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ- দু’টি সংস্থাই লিবিয়া সম্মেলন ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন টুইট করে বলেছেন, লিবিয়া সংকট মেটানোর জন্য জার্মানি এবং জাতিসংঘ যে উদ্যোগ নিয়েছে, ইইউ তাকে স্বাগত জানাচ্ছে। সম্মেলনে যে প্রস্তাব পাশ হয়েছে, তা যাতে কার্যকরী হয়, তার সমস্ত ব্যবস্থা করবে ইইউ। যুক্তরাষ্ট্রও এই সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়েছে। সূত্র: নিউজ রিপাবলিক, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।