মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতকে অত্যাধুনিক এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হস্তান্তর করবে রাশিয়া। শুক্রবার নয়া দিল্লিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেছেন রুশ রাষ্ট্রদ‚ত নিকোলাই কুদাশেভ। ৫.৪ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির অধীনে এগুলো ভারতকে হস্তান্তর করবে মস্কো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এখবর জানিয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়া মিশনের উপ-প্রধান রোমান বাবুশকিন। তিনি বলেন, ভারতের জন্য এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি ২০২৫ সালের মধ্যে তা ভারতকে হস্তান্তর করা যাবে। বাবুশকিন আরও বলেন, শিগগিরই ভারতের সশস্ত্রবাহিনী ৫ হাজার কালাশনিকোভ অ্যাসল্ট রাইফেল পাবে। যা ভারতে উৎপাদিত হয়েছে। ভারতের কাছে ২০০টি কামোভ কেএ-২২৬ হেলিকপ্টার বিক্রির একটি চুক্তি প্রায় চ‚ড়ান্ত হওয়ার দিকে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বাবুশকিন। এগুলোর মধ্যে ৬০টি রাশিয়া সরবরাহ করবে এবং বাকিগুলো ভারতে উৎপাদিত হবে। ৮ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনার ভারত একেবারে নিঃশর্ত ছাড় পাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে, রাশিয়ার কাছ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের অস্ত্রক্রয়কারী দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতকে বিশেষ ছাড় দিয়েছেন। কুদাশেভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে কাজ করছে ভারত-রাশিয়া। অর্থ পরিশোধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কঠিন হয়ে পড়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে দ‚রে সরছে না ভারত। পেন্টাগনের কাছ থেকে ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র কেনার চুক্তি করেছে দেশটি। এই চুক্তি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১টি ভারী পরিবহন হেলিকপ্টার সি-১৭ (ভারতের আছে দশটি), চারটি অতিরিক্ত পি৮১ সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধবিমান, ছয়টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার, ২৪টি সুখই হেলিকপ্টার এবং এম-৭৭ হাল্কা হোয়িটজার কিনবে ভারত। এছাড়া ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য মার্কিন এফ-১৮ ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার কথাও রয়েছে চুক্তিতে। হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।