মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্যারোলে থাকাকালীন সময়েই নিখোঁজ হয়ে গেলেন মুম্বাইয়ের ধারাবাহিক বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জলিস আনসারি। ‘ডক্টর বম্ব’ নামে পরিচিত আনসারি ২১ দিনের প্যারোলে জেলের বাইরে ছিলেন। গতকালই সেই প্যারোলের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে তার হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। আর এই ঘটনায় মুম্বাই পুলিশের মাথায় হাত পড়েছে। ডক্টর বম্বের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। বাস ডিপো ও রেল স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভারতজুড়ে প্রায় ৬০টি বিস্ফোরণ মামলায় নাম জড়িয়েছে আনসারির। ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ের ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলা ছাড়াও ২০০৮ সালের জয়পুর বিস্ফোরণে তার নাম জড়িয়েছিল। রাজস্থানের আজমেরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ছিলেন জলিস আনসারি। পরে তাকে আর্থার রোড জেলে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকেই তাকে প্যারোলের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। ২১ দিনের প্যারোলে ছাড়া পেয়ে তিনি মুম্বাই গিয়েছিলেন। প্যারোলে থাকাকালীন জালিস আনসারিকে অগড়িপাড়া পুলিশ স্টেশনে রোজ হাজিরা দিতে হত।
থানা সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট সময়ে হাজির দিতে আসেননি আনসারি। এরপরই তার ছেলে নিখোঁজ ডায়েরি করে। তিনি জানান, ১৫ তারিখ বাড়িতে ঝগড়া হয়েছিল। এরপর ১৬ তারিখ নামাজ পড়তে বেড়িয়ে আর ফিরে আসেনি তিনি। এই খবর প্রকাশ হতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। জানা গিয়েছে, রাজস্থান এক্সপ্রেসে বোমা রাখার অভিযোগে ১৯৯৪ সালে প্রথমবার আনসারিকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তখন থেকে তিনি সংশোধনাগারে ছিলেন।
মুম্বাই পুলিশের মুখপাত্র ডিসিপি প্রণয় অশোক বলেন, ‘৬৮ বছর বয়সী ডাক্তার মোহাম্মদ জলিস আনসারি একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে আজমের জেলে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে আর্থার রোড জেলে নিয়ে আসা হয়। তারপর সে প্যারোলে ছিল। আমরা তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছি।’ জেল সূত্রে খবর, গতকাল বিকাল ৫টার মধ্যে আজমের জেলে ফেরার কথা ছিল আনসারির। সময়ের মধ্যে না ফিরলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।