বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান,প্রযুক্তি ব্যবহার করে ত্রিশালের একটি জায়গা থেকে অভিযুক্ত আশিক মাহমুদ পুষ্পকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
অভিযুক্ত ওই পুলিশ কনস্টেবল হচ্ছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের রামগোবিন্দপুর গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে গত ১৫ ডিসেম্বর প্রতারণা করে ধর্ষণের অভিযোগে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন পাশের এলাকার অনার্স পড়ুয়া এক কলেজ ছাত্রী। তাঁর কর্মস্থল পিওএম(পশ্চিম) বিভাগ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কনস্টেবল নং-৩৬৯৯৯৮। ওই ছাত্রী জানান,জেলার একটি উপজেলার সরকারি কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন তিনি। তাঁর বড়বোনের বিয়ে হয়েছে নিজ এলাকার পাশে একটি গ্রামে। বড়বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মো. আশিক মাহমুদ পুষ্পের সাথে। তিনি তাঁকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সর্ম্পক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে বিয়েতে রাজী করায়। কিন্তু নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে বিয়ে না করে একটি এফিডেভিট করে সময় মতো বিয়ে করবে বলে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। নথি ঘেঁটে দেখা যায়, গত বছরের ৪ অক্টোবর ময়মনসিংহের নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে ওই এফিডেভিটটি নিবন্ধিত (নং-৬৬৩) হয়। এর কিছুদিন পরেই তিনি ফের আরেকটি বিয়ে করে ফেলেন। পরে মেয়েটি বাদী হয়ে বিগত ১৫ডিসেম্বর ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে যার মামলা নং ২৬। মামলার পর থেকে আশিকুর পলাতক থাকায় কয়েকদিন আগে আদালত তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোখলেছুর রহমান জানান, একটি ধর্ষণ মামলায় আশিকুর রহমান পুস্পকে আটক করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সে ডিএমপিতে কনস্টেবল পদে কর্মরত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।