নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ব্যাটহাতে গত ম্যাচের মতই জ্বলে উঠলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার অপরাজিত ৭৮ রানে ভর করে ১৫৮ রান তুলল খুলনা টাইগার্স। পরে বল হাতে শুরু থেকেই রাজশাহী রয়্যালসকে চেপে ধরেছেন মোহাম্মদ আমির। মাত্র ১৭ রানে ছয় উইকেট তুলে নিয়ে ভেঙে দিয়েছেন রাজশাহীর ভিত। শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠতে পারেনি শোয়েব মালিকের দল। ২৭ রানে রাজশাহীকে হারিয়ে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠল মুশফিকুর রহিমের দল। অন্যদিকে দিনের আরেক ম্যাচে মাশরাফি মুর্তজার ঢাকা প্লাটুনকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে পৌঁছে গেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের বিপক্ষে লড়বে প্রথম কোয়ালিফাইয়ারের পরাজিত দল রাজশাহী।
গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজশাহী অধিনায়ক শোয়েব মালিক। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। তৃতীয় ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ ও রাইলি রুশোকে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ ইরফান। পয়েন্টে তাইজুল ইসলামের হাতে জীবন পাওয়া মিরাজ ধরা পড়েন সিøপে, শ‚ন্য রানে রুশো ক্যাচ দেন কামরুল ইসলাম রাব্বিকে। প্রমোশন পেয়ে চারে নামা শামসুরের সঙ্গে ধীরে ধীরে জমে যায় শান্তর জুটি। রবি বোপারার বলে শামসুরের বিদায়ে ভাঙে ৭৮ রানের জুটি। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩১ বলে করেন ৩২। রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ২১ রান করে মাঠ ছেড়ে যান খুলনা অধিনায়ক। ৫৭ বলে সাত চার ও চার ছক্কায় ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন শান্ত। শেষের দিকে একটি করে ছক্কা ও চারে ৫ বলে ১২ রানের ইনিংসে দলের রান দেড়শ পার করেন নাজিবউল্লাহ জাদরান। আঁটসাঁট বোলিংয়ে ১৩ রানে ২ উইকেট নেন ইরফান। বোপারা ২৪ রানে নেন একটি।
১৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নেন মোহাম্মদ আমির। পাকিস্তানি এই বাঁহাতি পেসারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি লিটন দাস-আফিফ হোসেন-অলক কাপালি-আন্দ্রে রাসেলরা। এরপর রবি ফ্রাইলিঙ্ক ও শহীদুল ইসলামের ১টি করে উইকেট শিকারে স্কোর বোর্ড হয়ে যায়-৩৩/৬। এরপর আর পেরে উঠতে পারেনি দলটি। যা একটু চেষ্টা করেছেন মালিক (৮০)। তবে তা ব্যবধান কমিয়েছে ঠিকই, জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিলনা। ১৩১ রানেই আটকে যায় রাজশাহী। আমির সর্বোচ্চ ছয়টি উইকেট পান। মিরাজ দুটি এছাড়া ফ্রাইলিঙ্ক ও শহীদুল একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
এরআগে দিনের প্রথম ম্যাচে বাঁহাতে ১৪টি সেলাই নিয়ে মাশরাফি মুর্তজা খেললেন ঠিকই, কিন্তু ঢাকা প্লাটুনকে জয় এনে দিতে পারলেন না। বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স জিতেছে ৭ উইকেটে। ঢাকাকে বিদায় করা চট্টগ্রাম বুধবার খেলবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি খুলনা টাইগার্স-রাজশাহী রয়্যালসের পরাজিত দল।
একই ভেন্যুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকা উইকেট হারিয়েছে শুরু থেকে। তামিম ইকবাল (৩), এনামুল হক (০), লুইস রিস (০), মেহেদী হাসান (৭), জাকের আলী (০) আর আসিফ আলীর (৫) ব্যর্থতায় ৬০ রানে তারা হারিয়ে ফেলেছে ৭ উইকেট। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে লড়াই করলেও মুমিনুল হক (৩১) দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি।
সে কাজটি করেছেন শাদাব খান আর থিসারা পেরেরা। ৩০ বলে ৪৪ রানের জুটি গড়ে ঢাকার ড্রেসিংরুমে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছেন দুজনে। ১৩ বলে ২৫ করে পেরেরা ফিরে আসার পর একাই খেলেছেন শাদাব। মাশরাফির অবদানও কম নয়। আহত হাতে দুই বল ঠেকিয়ে অধিনায়ক যেন অভয় দিয়েছেন সতীর্থকে। শাদাবও খেলেছেন নির্ভয়ে। ৪১ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৬৪ রানে। তাই ঢাকা পেয়েছে সম্মানজনক স্কোর। ৩ উইকেট নিয়েছেন রায়াড এমরিট, দুটি করে রুবেল হোসেন ও নাসুম আহমেদ।
সম্মানজনক হলেও ১৪৪ টি-টোয়েন্টিতে বড় স্কোর নয়। এই পুঁজি নিয়ে ঢাকা লড়াই করতে পারেনি একদমই। ক্রিস গেইল (৩৮), জিয়াউর রহমান (২৫) আর ইমরুল কায়েসকে (৩২) হারিয়ে ১৪ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে চট্টগ্রাম। ফাইন লেগে মাশরাফির এক হাতে নেওয়া গেইলের ক্যাচই যা একটু আনন্দ দিতে পেরেছে ঢাকার ভক্তদের। শাদাবকে টানা দুই ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। মাত্র ১৪ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক।
আগামীকাল দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম-রাজশাহী। এই দু’দলের খেলায় জয়ী দল তার দু’দিন পর (১৭ জানুয়ারি) শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মুখোমুখি হবে খুলনার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।