নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অনেক দিন থেকেই ক্রিকেট পাড়ায় মাশরাফি বিন মুর্তজার অবসর নিয়ে জোর গুঞ্জন। স¤প্রতি মাশরাফির অবসরের আলাপ-আলোচনা আরও চড়া হতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) জানিয়েছে, তারা মাশরাফিকে ঘটা করে বিদায় দিতে তৈরি। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ভাবনাটা অন্য রকম। তার মতে, অন্যের কথায় নয়, নিজের একান্ত অনুভ‚তি থেকে বিদায় বলার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত একজন ক্রিকেটারের।
গতকাল মিরপুরে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয়ের পর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে কথা বলতে হয়েছে মাশরাফির অবসর প্রসঙ্গ নিয়ে। জানিয়েছেন অবসরের যাওয়া-না যাওয়া মাশরাফির নিজস্ব বিষয়, ‘প্রথমত, আমি যেভাবে চিন্তা করি, এটা (অবসরে যাওয়া) পুরোটা মাশরাফি ভাইয়ের সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে তার সঙ্গে আমার দু-একবার কথা হয়েছে। কিন্তু আমি এটা নিয়ে কথা বলতে পারব না। কারণ একটা ব্যক্তিগত বিশ্বাসেরও জায়গা আছে। তাকে না জানিয়ে আমি এটা শেয়ার করতে পারি না।’
মাহমুদউল্লাহর মতে, তারা কারও কথায় নয়, নিজেদের ভালোলাগা-ভালোবাসা থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছেন, তাই ছাড়ার বিষয়টিও তাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত, ‘যখন আমরা ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি, আমরা ভালোবেসে খেলেছি। এটা এখন আমার পেশা হয়ে গিয়েছে। শুরু থেকে কখনো ভাবিনি যে আমি ক্রিকেটারই হব। আমি ভালোবেসেছি, আমি খেলেছি, এরপর ক্রিকেট আমার পেশা হয়েছে... তো কারও কথায় আমি খেলা শুরু করিনি, আর কারও কথায় আমি খেলা ছাড়ার পক্ষপাতী না।’
তিনি যোগ করেছেন, খেলা চালিয়ে যেতে না পারলে একজন ক্রিকেটার নিজেই অবসরে যেতে পারেন, এখানে দায়বদ্ধতা তার-ই, ‘যখন আমার মনে হবে যে আমার পক্ষে খেলা সম্ভব না, তখন আমি আর খেলব না। কারণ এটা একান্তই আমার বিষয়, আমার ক্রিকেট। দায়বদ্ধতা তাই আমার-ই থাকা উচিত। আমি বিষয়টাকে এভাবে দেখি। আমার মনে হয়, মাশরাফি ভাইও এভাবে দেখেন। কারণ তিনি অনেক বছর ধরে ক্রিকেট খেলছেন।’
মাশরাফির লড়াকু মনোভাব, দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও নেতৃত্বগুণে বরাবরই মুগ্ধ মাহমুদউল্লাহ। আর গতকাল যেটি দেখলে তাতে টুপি খোলা অভিনন্দনই ঝরল অভিজ্ঞ এই সতীর্থের কণ্ঠ থেকে। আগের ম্যাচে পাওয়া হাতে চোটগ্রস্ত হাতে ১৪ সেলাই নিয়ে আসলেই খেলতে নেমে গিয়েছিলেন মাশরাফি! ওয়ানডে অধিনায়কের এই পদক্ষেপ ও পারফরম্যান্স বীরোচিত মনে হয়েছে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কাছে, ‘হ্যাটস অফ টু মাশরাফি ভাই। আজকে (কাল) উনি ১৪টি সেলাই নিয়ে খেলেছেন। উনার জায়গায় আমি হলে জীবনেও চিন্তা করতাম না খেলার। উনি খেলেছেন, ভালো বোলিং করেছেন। ভালো একটি ক্যাচও নিয়েছেন, ক্রিস গেইলের শটটিতে বল অনেক স্পিন করছিল। গুরুত্বপ‚র্ণ ক্যাচ ছিল।’
ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র দুটি বল খেললেও গুরুত্বপ‚র্ণ জুটির অংশীদারী হয়েছেন। বোলিংয়ে নিজের প্রথম ৩ ওভারে ছিলেন যথেষ্ট কার্যকর। শেষ ওভারে ইমরুল কায়েসের ব্যাটে দুই ছক্কা হজম করে বোলিং ফিগার হয়েছে একটু বিবর্ণ। আর ফিল্ডিংয়ে ক্রিস গেইলের ক্যাচ নিয়েছেন এক হাতে।
ক্যারিয়ারের পরোয়া না করেও ক্রিকেটে এমন নিবেদনের প্রমাণ ক্রিকেটে বিরলই। সেটি সম্ভব হয়েছে নামটি মাশরাফি বলেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।