নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এলিমিনেটর ম্যাচে বোলারদের নৈপুণ্যে ঢাকা প্লাটুনকে অল্প রানে বেঁধে দিয়ে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এ জয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করল তারা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে পরাজিত দলের বিপক্ষে লড়বে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।
আজ (সোমবার) শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্লাটুনের দেওয়া ১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে তোলেন ক্রিস গেইল ও জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানকে আউট করে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ঢাকার স্পিনার মেহেদী হাসান। আউট হওয়ার আগে জিয়াউর খেলেন ১২ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। ৩টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান জিয়া।
তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন এ টুর্নামেন্টের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। গেইলের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৯১ রানে আউট হন তিনি। ২২ বলে ১ চার ও তিন ছয়ে ৩২ রান করে শাদাব খানের বলে আউট হন ইমরুল। এরপর দলীয় ১০২ রানে শাদাব খানের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন গেইল। এ ক্যারিবিয়ান করেন ৪৯ বলে ৩৯ রান।
৩ উইকেট হারালেও বড় জয় পায় চট্টগ্রাম। চতুর্থ উইকেটে চ্যাডউইক ওয়াল্টনকে সঙ্গে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৪৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মাহমুদউল্লাহ। মাত্র ১৪ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। তার এ ইনিংসে তিনি ৪টি ছক্কা হাঁকালেও নেই কোনো চারের মার। অন্যদিকে ১০ বলে ১২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন ওয়াল্টন।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করেছে ঢাকা। যদিও ইনিংসের শুরুটা ভালোমতো করতে পারেননি ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। রুবেল হোসেনের দ্বিতীয় ওভারে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ওপেনার তামিম ইকবাল (৩)।
তামিমের বিদায়ের পর শূন্য রানে বিদায় নেন এনামুল হক বিজয় ও লুইস রিস। বিজয়কে নাসুম আহমেদ ফেরান, রিসকে ফেরান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওপেনার মুমিনুলকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন মেহেদী হাসানও (৭)।
৩১ বলে ৩১ রানে মুমিনুলের বিদায়ের আগে কোনো রান না করেই ফেরেন জাকের আলী। এরপর দলীয় ৫২ রানে ফিরে যান ওপেনার মুমিনুল। সপ্তম উইকেটে আসিফ আলী (৫) ব্যর্থ হলেও শ্রীলঙ্কান থিসারা পেরেরা ঝড় তোলেন। ১৩ বলে ২৫ রান করে রুবেলের বলে জিয়াউর রহমানের হাতে তালুবন্দি হন।
১০৪ রানে পেরেরার বিদায়ের পর চট্টগ্রামের বোলারদের শাসন করেন পাকিস্তানের শাদাব খান। ৪১ বলে ৬৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই পাক অলরাউন্ডার।
এই ইনিংসে ১৪টি সেলাই ও হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে মাঠে নেমেছেন মাশরাফি। ব্যাট হাতে ম্যাশ ২ বল খেললেও রান করতে পারেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।