মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও দেশজুড়ে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) বলবৎ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ ভারত। এই পরিস্থিতিতে সিএএ-এর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দেশজুড়ে সরব হয়ছে প্রথম সারির গন্যমান্য ব্যক্তিত্বরা। আর সেই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। অমর্ত্য সেন বেঙ্গালুরুর এক সভায় বলেন, সিএএ অসাংবিধানিক। তার মতে দেশের শীর্ষ আদালতের উচিৎ এই আইন বাতিল করে দেয়া। একই সঙ্গে এদিন আবারও মোদি সরকারকে অমর্ত্য সেন পরামর্শ দেন, সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার।
গত মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে ইনফোসিস সায়েন্স ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অমর্ত্য সেন। সিএএ প্রসঙ্গে ইতিহাস টেনে এনে তিনি বলেন, কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলিতে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব বিষয়টি আলোচিত হয়েছিল। সেখানে স্থির হয়েছিল, ভেদাভেদ করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।
সাংবাদিক সম্মলনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, এই অসাংবিধানিক আইনকে সুপ্রিম কোর্টের উচিৎ বাতিল করা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নাগরিকত্বের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এমন মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্র, যেখানে কখনও ধর্মীয় ভেদাভেদের গন্ডি কেটে দেয়া যায় না।
পাশাপাশি নাগরিকত্বের বিষয়টিকে ধর্ম থেকে আলাদা করে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন অমর্ত্য সেন। তিনি আরও বলেন, গোষ্ঠীগত ভেদাভেদ তৈরি হলে তা শুধু সামাজিক জীবনেই প্রভাব ফেলে না, তা বুদ্ধিবৃত্তির উন্নতির ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
শুধু সিএএ নয় এদিন জেএনইউতে ঘটা ঘটনার বিরুদ্ধেও সরব হন অমর্ত্য সেন। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগেই বলেছেন, ‹যা পরিস্থিতি তাতে দেখে মনে হচ্ছে ভারত এখন নাৎসি জার্মানি হওয়ার পথে এগোচ্ছে!’ আর এদিন দিল্লিতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এ হামলা নিয়েও সরব হলেন অমর্ত্য সেন।
তিনি বলেন, যা ঘটছে তাতে তিনি ‘হতভম্ব’। তার মতে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিরাগতদের হামলা রুখতে ব্যর্থ হয়েছেন। হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন পুলিশকে জানাতে দেরি করলেন তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।