নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঘরের মাঠ ঘুরে ঢাকা পর্বে এসেও জয়ের দেখা পেলো না সিলেট থান্ডার। শেষ ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে আগেই ছিটকে যাওয়া দলটি। ৫ বল হাতে রেখে জয় পাওয়া কুমিল্লা এই জয়ে এখনও শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করা সিলেট শেষটাও করল হারেই। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা কুমিল্লার শুরুটা ছিল হতাশার। ১০ রানের মাঝে ফিরে গেছেন ফারদিন হাসান ও উপুল থারাঙ্গা। এর পরেই হাল ধরে খেলেছেন কুমিল্লা অধিনায়ক ডেভিড মালান। মাঝে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১১ রান করে ফিরলেও আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলা ছাড়েননি মালান। জয়ের মঞ্চ গড়েছেন সৌম্য সরকারের সঙ্গে জুটি গড়ে। ৪৯ বলে মালান ৫৮ রানে ফিরেছেন ইবাদত হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়ে। তার বিদায়ের পরও কুমিল্লা জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলেছে সৌম্য সরকারের ৩০ বলে করা ৫৩ রনের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে। মাঝে ডেভিড ভিসে ১৩ রানে ফিরে গেছেন। যখন ৬ বলে ৪ রান প্রয়োজন, তখন ১৯.১ ওভারে বাউন্ডারি মেরেই জয় নিশ্চিত করেছেন সৌম্য। তবে ম্যাচসেরা জয়ের মঞ্চ গড়ে দেওয়া মালান। কুমিল্লা জয় নিশ্চিত করেছে ৫ উইকেট হাতে রেখেই।
১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে কুমিল্লা। এক ম্যাচ কম খেলে সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে তাদের উপরেই আছে খুলনা টাইগার্স। অপর দিকে সিলেট ১২ ম্যাচে একটি জয় ছাড়া সবকটিতেই হেরেছে।
বিপিএলে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই বিবর্ণ ছিল সিলেট থান্ডারের পারফরম্যান্স। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি সমৃদ্ধ স্কোর বোর্ড পায়নি তারা। ৫ উইকেটে করতে পারে ১৪১ রান। বলতে গেলে কুমিল্লার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ঝড়ো গতিতে খেলার সুযোগ পায়নি সিলেট। শুরুতে মেরে খেলতে পারেননি ২৫ বলে ২২ রান করে আউট হওয়া আন্দ্রে ফ্লেচারও। সর্বোচ্চ স্কোর বলতে আব্দুল মজিদের ৪০ বলে ৪৫ রান! জনসন চার্লস মেরে খেলার চেষ্টা করেছিলেন। ১৫ বলে ২৬ রান তোলা এই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন আল আমিন। একই দশা জীবন মেন্ডিসেরও। হাত খুলে মারবার আগে ১১ বলে ২৩ রান করা এই লঙ্কানকে ফিরিয়েছেন ডেভিড ভিসে। কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আল আমিন ও ডেভিড ভিসে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট থান্ডার : ২০ ওভারে ১৪১/৫ (ফেচার ২২, মজিদ ৪৫, চার্লস ২৬, মিঠুন ১৮, মেন্ডিস ২৩, মিলন ২*, গাজী ২*; সানজামুল ০/৩০, আবু হায়দার ০/১৮, মুজিব ১/২৩, আল আমিন ২/৩০, সৌম্য ০/৭, উয়াইস ২/৩১)।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স : ১৯.১ ওভারে ১৪২/৫ (থারাঙ্গা ৪, ফারদিন ১, মালান ৫৮, আকন ১১, সৌম্য ৫৩*, উয়াইস ১৩, ইয়াসির ০*; এবাদত ১/২৬, নাঈম ৩/২১, গাজী ০/১৬, দেলোয়ার ০/৩৫, চার্লস ১/৩৪, নাজমুল ০/৯)।
ফল : কুমিল্লা ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : ডেভিড মালান (কুমিল্লা)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।