নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভিন্ন দিন, ভিন্ন শহর। এক টুর্নামেন্টে টানা দুই ম্যাচে দুটি দলই মুখোমুখি হওয়াটা ব্যতিক্রমী এক ঘটনা। বিপিএলের সুবাদে টানা দুই ম্যাচে মুখোমুখি হলো রংপুর রেঞ্জার্স ও রাজশাহী রয়্যালস। তাও ভালো, ম্যাচের ফলাফলে পরিবর্তন এসেছে বলে পুনরাবৃত্তির মিছিলে একটু টান পড়েছে। পরশুর জয়ে কোয়ালিফায়ারের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা রংপুর গতকাল রাজশাহীর কাছে হেরেছে ৩০ রানে।
হারলেই সব শেষ নয়। কাগজে কলমে হয়তো টিকে থাকবে আশা। কিন্তু তার জন্য বেশ যদি-কিন্তুর হিসেব থাকবে। তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর ফলাফলের উপর। এমন সমীকরণ নিয়েই দেওয়ালে পা ঠেকে যাওয়া রংপুর নেমেছিল মাঠে। তবে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি তারা। অন্যদিকে রংপুরকে হারাতে পারলে শীর্ষে ওঠার হাতছানি ছিল রাজশাহীর। তার ষোলোআনাই পূরণ করেছে তারা। দারুণ ক্রিকেট উপহার দিয়ে তাদের ৩০ রানে হারিয়ে শীর্ষে উঠে আসে দলটি। গতকাল সিলেটে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। দলীয় ৩ রানেই অধিনায়ক শেন ওয়াটসনকে হারায় তারা। পরে মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান ক্যামেরন ডেলপোর্ট। এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখও। ফলে দলীয় ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে যায় দলটি। দলের এ অবস্থায় টম আবেলকে নিয়ে হাল ধরেন ফজলে মাহমুদ। ৬৪ রানের জুটি গড়ে সে চাপ সামলেও নেন তারা।
বোপারার ২৯ বলে ৫০ রান ও নওয়াজের ৯ বলের ১৫ রানই রাজশাহীকে ১৭৯ রান এনে দিয়েছে। তবে ভিত্তিটা গড়ে দিয়েছিলেন আফিফ হোসেন ও লিটন দাস। এ দুই ওপেনার প্রথম ৫ ওভারেই দলকে পঞ্চাশ রান এনে দিয়েছেন। ১৭ বলে ৩২ রান তোলা আফিফ ও ১৯ রান লিটন অবশ্য ইনিংস বড় করতে আবারও ব্যর্থ হয়েছেন।
রান তাড়া করতে নামা রংপুরের শুরুটা ছিল ভয়ংকর। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৩ রান তুলেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও শেন ওয়াটসন। বাজে ফর্ম ধরে রেখে ২ রানেই আউট হয়েছেন শেন ওয়াটসন। মোহাম্মদ ইরফানের এক ওভারে ১৮ রান তুলে ঝড়ের ইঙ্গিত দিয়েও অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেননি নাইম (২৭)। ডেলপোর্ট, আবেল, বা ফজলে মাহমুদরা কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি বা ঝড় তোলার কাজটাও করেননি। ফলে শেষ দিকে ঝড় তোলার মতো কেউই আর অবশিষ্ট ছিলেন না। এক সময়ের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান জহুরুল ইসলাম ৭ বলে ৪ রান করে বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন তাঁকে আটে নামানো হচ্ছে। ৭ উইকেটে ১৪৯ রানে থেমেছে রংপুর।
৯ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাওয়া রংপুরের হাতে আর ৩ ম্যাচ আছে। কোয়ালিফায়ারের আশা বাঁচাতে চাইলে আর কোনো ম্যাচে হারলে চলবে না তাদের। অন্যদিকে ১২ পয়েন্ট পেয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করে ফেলেছে রাজশাহী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী রয়্যালস : ২০ ওভারে ১৭৯/৪ (লিটন ১৯, আফিফ ৩২, মালিক ৩৭, ইরফান ২০, বোপারা ৫০*, নাওয়াজ ১৫*; সানি ১/৪৫, মুস্তাফিজ ২/৪১, তাসকিন ০/৩৭, নবি ১/২৬, ডেলপোর্ট ০/১১, আবেল ০/১৮)।
রংপুর রেঞ্জার্স : ২০ ওভারে ১৪৯/৭ (নাঈম ২৭, ওয়াটসন ২, ডেলপোর্ট ১৪, আবেল ২৯, ফজলে ৩৪, নবি ৫, আল-আমিন ১৮, জহুরুল ৪*, তাসকিন ৪*; নাওয়াজ ২/২১, ইরফান ১/২৩, মালিক ২/২৭, আফিফ ০/১৬, রাহী ০/১৭, বোপারা ০/১০, রাব্বি ২/৩২)।
ফল : রাজশাহী রয়্যালস ৩০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রবি বোপারা (রাজশাহী)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।