নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরুর দিকে হতাশাকে পিছু হটিয়ে টানা তৃতীয় ম্যাচে দারুণ বোলিং উপহার দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। রংপুরের অন্য বোলারদের পারফরম্যান্স অবশ্য আহামরি কিছু হলো না। তবু ধুঁকল সিলেটের ব্যাটিং। রংপুরের সহজ রান তাড়া আরও অনায়াস হয়ে গেল ক্যামেরন দেলপোর্তের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে। বিপিএলে তলানির দুই দলের লড়াইয়ে সিলেট থান্ডারকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রেঞ্জার্স।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল সিলেটকে বলতে গেলে একাই টেনেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৪৭ বলে করেছেন ৬২। তার ইনিংসের পরও ২০ ওভারে সিলেট করতে পারে কেবল ১৩৩ রান। রংপুর জিতেছে ১৬ বল বাকি রেখে। ২৮ বলে ৬৩ রানের ইনিংসে রান তাড়ায় রংপুরকে এগিয়ে নিয়েছেন দেলপোর্ত। তবে জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া বোলিংয়ে ম্যাচসেরা মুস্তাফিজ। ৪ ওভারে ১০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
টস পক্ষে পাওয়ার পর থেকে ম্যাচের প্রায় সবকিছুই নিজেদের করে নিয়েছে রংপুর। টস জিতে বোলিংয়ে নামা দলকে ম্যাচের প্রথম ওভারেই উইকেট এনে দেন আরাফাত সানি। অভিজ্ঞ এই বোলার এবোর মাত্র চতুর্থ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেন। দ্বিতীয় বলেই ফিরিয়ে দেন এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান আন্দ্রে ফ্লেচারকে। উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন বিপজ্জনক এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসমান। সিলেট এরপর পেয়েছে ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি। তবে জুটির গতি ছিল মন্থর। এক পাশে মিঠুন রান তুলেছেনে দ্রæততায়, আরেক পাশে মোসাদ্দেক হোসেন ছিলেন একদমই ছন্দহীন। ৪৯ বলে ৫৭ রানের জুটিতে মোসাদ্দেকের রান ছিল ২৩ বলে ১৫! তার ধুঁকতে থাকা ইনিংস শেষ হয়েছে নাঈম শেখের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে। বাঁচতে গিয়ে ডাইভ দিয়ে ঘাড়ে ব্যথাও পেয়েছেন সিলেট অধিনায়ক। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ করে মিঠুন বিদায় নিয়েছেন মুস্তাফিজের বাউন্সারে। শেষ ৬ ওভারে সিলেট তুলতে পেরেছে কেবল ২৮ রান।
ছোট পুঁজি নিয়েও সিলেটকে খানিকটা আশা দেখিয়েছিলেন ইবাদত হোসেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ১৪২.৪ কিলোমিটার গতির দুর্দান্ত ইয়র্কারে বোল্ড করে দেন রংপুর অধিনায়ক শেন ওয়াটসনকে। সিলেটের বোলিং গুঁড়িয়েছেন ম‚লত দেলপোর্ত। তিনে নেমে প্রথম রানের দেখা পেতে তার লেহেছে ৭ বল। এরপর নাঈমকে ছক্কায় রানের খাতা খুলেছেন। সেই খাতায় রান জমা হয়েছে দারুণ গতিময়তায়। ২৪ বলে ছুঁয়েছেন ফিফটি।
৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৩ করে দেলপোর্ত বিদায় নিয়েছেন নাভিন-উল-হকের বলে। নাঈম ও মোহাম্মদ নবি শেষ করেছেন কাজ। দুটি করে চার ও ছয়ে ৫০ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে যান নাঈম, নবি ১২ বলে অপরাজিত ১৮। ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন নাভিন। ৭ ম্যাচে রংপুরের এটি দ্বিতীয় জয়। পয়েন্ট তালিকায় উঠে এলো তারা নিচের দিক থেকে দুইয়ে। ৮ ম্যাচে ৭ পরাজয়ে সিলেট নেমে গেল সবার নীচে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
সিলেট থান্ডার : ২০ ওভারে ১৩৩/৯ (ফ্লেচার ০, চার্লস ৯, মিঠুন ৬২, মোসাদ্দেক ১৫, রাদারফোর্ড ১৬, মিলন ১, সোহাগ ১২, নাঈম ৮. মনির ০, নাভিন ০*, ইবাদত ০*; সানি ১/২৪, মুস্তাফিজ ৩/১০, মুকিদুল ১/৪৩, নবি ১/৩১, গ্রেগোরি ১/২১)
রংপুর রেঞ্জার্স : ১৭.২ ওভারে ১৩৪/৩ (নাঈম ৩৮*, ওয়াটসন ১, দেলপোর্ত ৬৩, গ্রেগোরি ৪, নবি ১৮* ; নাভিন ২/১৩, ইবাদত ১/১২, নাঈম ০/৪৫, সোহাগ ০/২২, রাদারফোর্ড ০/২২, মনির ০/১৫)।
ফল : রংপুর রেঞ্জার্স ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : মুস্তাফিজুর রহমান (রংপুর)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।