নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ম্যাচের উনিশতম ওভারে সৌম্য সরকার ও ডেভিড উয়াইজের ব্যাট থেকে আসল তিনটি ছক্কা। রান আসল ২১। শেষ ওভারে দুই ছয় ও এক চারের ১৯ রান তুললেন সৌম্য। অপরাজিত থাকলেন ৪৮ বলে ৮৮ রান নিয়ে। কিন্তু তা পর্যাপ্ত ছিলনা। জয় থেকে ১৫ রান দূরে থাকতেই শেষ হয়ে গেল নির্ধারিত ২০ ওভারের কোটা।
গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯০ রান করে রাজশাহী রয়্যালস। জবাবে ১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স থেমে গেল ১৭৫ রানে। এই জয়ে ছয় ম্যাচে খেলে পাঁচ জয় ও এক হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে রাজশাহী। ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৪ পয়েন্ট নিয়ে কুমিল্লার অবস্থান পাঁচে।
রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি কুমিল্লার দুই ওপেনার। রবিউল ইসলাম রবি ১৫ বলে ১২ রান করে ফরহাদ রেজার বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন। তারপরের ওভারেই শোয়েব মালিকের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে যান সিতান ভান জল। প্যাভিলিয়নে যাওয়ার আগে তিনি ২৩ বলে করেন ২১ রান। এবারের আসরে সেঞ্চুরি তুলে নেয়া ডেভিড মালানও পারেননি জ্বলে উঠতে। মাত্র ৩ রানেই আন্দ্রে রাসেলের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন সাব্বির রহমান। তার সঙ্গী সৌম্য সরকার। একপ্রান্তে সৌম্য প্রয়োজন মত খেলতে থাকলেও আরেকপ্রান্তে সাব্বির খেলতে থাকেন দলের প্রয়োজনের বিপরীতে। যেখানে দরকার ওভার প্রতি প্রায় ১৫-১৬ রান। সেখানে সিঙ্গেল নিয়েই খেলছিলেন তিনি। যখন হাত খুলে খেলতে গেলেন, তখন দেরি হয়ে গেছে অনেক। আবার বেশিদূর এগুতেও পারলেন না। ২৩ বলে ২৫ রান করে মোহাম্মদ ইরফানের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান এই ডানহাতি। পরে ডেভিড উয়াইজ ৬ বলে ২ ছক্কায় ১৬ রানে ও সৌম্য ৪৮ বলে ৮৮ রানে অপরাজিত থাকলেও জয় থেকে ১৫ রান দূরে থেকেই মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা। রাজশাহীর হয়ে রাসেল, ইরফান ও রেজা একটি করে উইকেট নেন।
এরআগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করে রাজশাহী। লিটন দাস ও আফিফ হোসেনের জুটি ভাঙে দলীয় ৫৬ রানে। সানজামুলের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ২৪ রানে লিটন ফেরার কিছুক্ষন পর পর্যন্ত ইনিংস আগলে ররাখেন আফিফ। কিন্তু ৪৩ রানে সৌর বলে বোল্ড হন তিনি। তারপর অনেকটা একাই খেলছিলেন মালিক। বোপারা ১০ রানে ফিরলে ক্রিজে আসেন রাসেল। এই দুই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। মালিক ৬১ রানে ও রাসেল ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। কুমিল্লার হয়ে মুজিব, সানজামুল ও সৌম্য পান একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী রয়্যালস : ২০ ওভারে ১৯০/৪ (লিটন ২৪, আফিফ ৪৩, মালিক ৬১*, বোপারা ১০, রাসেল ৩৭*; আবু হায়দার ০/৩১, মুজিব ১/২৫, আল আমিন ০/৪৯, ভিসা ০/৩০, সানজামুল ১/২০, রবি ০/১৪, সৌম্য ১/১৮)।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স : ২০ ওভারে ১৭৫/৪ (রবি ১২, ফন জিল ২১, মালান ৩, সৌম্য ৮৮*, সাব্বির ২৫, ভিসা ১৬*; রাসেল ১/৪৪, ইরফান ১/২৪, তাইজুল ০/৬, ফরহাদ ১/৪৮, অলক ০/৯, আফিফ ০/৮, বোপারা ০/১৬, মালিক ১/১৯)।
ফল : রাজশাহী রয়্যালস ১৫ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : শোয়েব মালিক (রাজশাহী)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।