Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাসিমুখে অসহযোগ চেয়েছি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ভারতের জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (এনপিআর) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে গত বুধবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদের সময়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন অরুন্ধতী রায়। কিন্তু তার সেই বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে গত শুক্রবার তিনি দাবি করেন।
টিভি চ্যানেলে গত বৃহস্পতিবার দেখানো হয়েছে অরুন্ধতী বলছেন, এনআরসি’র তথ্যভান্ডার হিসেবে কাজ করবে এনপিআর। তাই সরকারের কাছে ভুল নাম এবং ঠিকানা জমা দিতে জনতাকে পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
অরুন্ধতীর দাবি, টিভি চ্যানেলগুলোতে গোটা বক্তৃতার ফুটেজ ছিল। কিন্তু তারা শুধু ওই অংশটুকু নিয়েই ভুল ব্যাখ্যা করে লাফালাফি করেছে। ওই মন্তব্যের জন্য তার গ্রেফতারিও দাবি করেছেন কোনও কোনও নেতা।
লেখিকা জানিয়েছেন, রামলীলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ২২ ডিসেম্বরের সভায় এনআরসি নিয়ে অকপটে মিথ্যে বলেছিলেন। মোদি বলেছিলেন, ভারতে কোনও ডিটেনশন সেন্টারের অস্তিত্ব নেই। মোদির মিথ্যের জবাব দিতে অরুন্ধতী ওই বক্তৃতা দিয়েছিলেন বলে এক বিবৃতিতে গতকাল শনিবার নিজেই জানিয়েছেন।
তার কথায়, ‘ওই মিথ্যের জবাবে আমি বলেছিলাম, ওরা আমাদের কাছে এনপিআর-এর জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে আসবে। তখন আমাদের সমবেতভাবে কিছু হাস্যকর তথ্য ওদের হাতে তুলে দিতে হবে। আমার প্রস্তাব ছিল, হাসিমুখে অসহযোগিতা করার।’
কিন্তু তার মন্তব্যের অংশবিশেষ তুলে যে ভাবে গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়েছে, তাতে বিরক্ত অরুন্ধতী। পাল্টা প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যে বললে কিছু হয় না? আমরা যদি একটা হাসির কথা বলি, সেটা হয়ে যায় ফৌজদারি অপরাধ। আর নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক! অসাধারণ সময়! অসাধারণ গণমাধ্যম!’ সূত্র : নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ