বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1720205284](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং ৭জন আহত হয়ছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের দশহাজার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ব্যাক্তির নাম ভূট্টো মোল্লা (৪৫)। তিনি ওই গ্রামের আহজার মোল্লার ছেলে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দশ হাজার গ্রামের বাসিন্দা ওহাব ফকির ও সোহরাব মোল্লার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ভূট্টো মোল্লাকে আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করতে গেলে অন্যরাও হামলার স্বীকার হন। এসময় তাকে সহ ৭জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভূট্টো মোল্লাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাখাওয়াৎ মোস্তফা বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ভূট্টো মোল্লার মৃত্য হয়েছিল। বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা কোতয়ালী থানা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল ওহাব ফকির বলেন, আমাদের সাথে কিছুদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিলো ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক সোহরাব হাওলাদারের সাথে। আর এ বিরোধের জের ধরে ঠ্যানঠানা বাজার থেকে বাড়ি আসার সময় আওয়ামীলীগের কর্মি ভুট্রোকে কুপিয়ে খুন করে সোহরাব হাওলাদার, মনি মোল্যাসহ অন্যরা। তিনি বলেন আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন বলেন, ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের দশ হাজার গ্রামে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৈজুরীর ইছাইল গ্রামে বেশ কয়েকটি বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফরিদপুর ও সালথা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এদিকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।