নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাকিস্তানে গিয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে চাইলেও বাংলাদেশের টেস্ট খেলতে না চাওয়ার কোন যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না মিসবাহ-উল হক। পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও প্রধান নির্বাচক রীতিমতো ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রতি। পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক আজহার আলির মতে, কোনো অজুহাতই গ্রহণযোগ্য নয়। পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ খেলতে না চাওয়ার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের ওপর বেজায় চটেছেন পাকিস্তানের কোচ ও অধিনায়ক।
আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী আসছে মাসে পাকিস্তানের হোম সিরিজ হিসেবে তিন টি-টোয়েন্টি আর দুই টেস্ট খেলার কথা বাংলাদেশের। নিরাপত্তাজনিত কারণে পাকিস্তানে লম্বা সময় অবস্থান করতে এরমধ্যেই অপারগতা জানিয়ে দিয়েছে বিসিবি। তাই কেবল একটি ভেন্যুতে গিয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে রাজী বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজ চায় নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
কিন্তু নিরপেক্ষ ভেন্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে না খেলার কথা জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানও। এবার তাদের প্রধান কোচ মিসবাহ তো রীতিমতো ক্ষেপেই এলেন বাংলাদেশের উপর, ‘আমি তাদের রাজী না হওয়ার কারণ বুঝতে পারছি না। তারা টি-টোয়েন্টি খেলতে আসবে কিন্তু টেস্ট খেলতে আসবে না, এর কোন যুক্তি নেই। পাকিস্তানের প্রতি এটা অবিচার। আমার কেবল হচ্ছে তারা একটা খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করিয়েছে। এটা যদি হয় তাহলে বড় অন্যায় হবে পাকিস্তানের প্রতি। যখন এখানে অন্য দলগুলো এসে সমস্যা ছাড়াই খেলে যাচ্ছে।’
সম্প্রতি পাকিস্তানে গিয়ে টেস্ট খেলতে যায় শ্রীলঙ্কা দল। তবে টেস্ট সিরিজের আগে টি-টোয়েন্টির জন্য পাঠিয়েছিল দ্বিতীয় সারির দল। কোন দলই পাকিস্তানে লম্বা সময় অবস্থান করনি। তবে টি-টোয়েন্টি আর টেস্ট সিরিজ দুটোই খেলতে হলে বাংলাদেশকে লম্বা সময়ই থাকতে হবে পাকিস্তানে। নিরাপত্তা সংকট তৈরির পর যা কোন দলই করেনি। বাংলাদেশের আপত্তি এখানেই। বিসিবি পরিষ্কার জানিয়েছে, তাদের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল পাকিস্তানে ক্রিকেটারদের লম্বা সময় না থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
পাকিস্তান নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে রাজী না হলে বাতিল হয়ে যেতে পারে দু’দলের টেস্ট সিরিজ। আর তা হলে ২০২০ সালের গ্রীষ্মের আগে টেস্ট ম্যাচ পাচ্ছে না পাকিস্তান। কোচ মিসবাহ এত লম্ব বিরতি দেখে ক্রিকেটারদের ফর্ম নিয়ে পড়েছেন শঙ্কায়, ‘অনেক দিন পর পর খেলে পারফর্ম করা যায় না। তারা (পিসিবি) খেলোয়াড়দের দোষ দিবে কী করে যদি তারা পারফর্ম না করে।’
টেস্ট অধিনায়ক আজহার আলির কণ্ঠেও শোনা গেল একই সুর। তিনি তুলে ধরলেন এশিয়ান ভ্রাতৃত্ববোধের দিকটিও, ‘আমি নিশ্চিত পিসিবি ব্যাপারটি দেখছে। তবে আমি বুঝতে পারছি না, সফরে না আসার কারণ কী হতে পারে। এটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। অনেক দলই এখানে আসছে-যাচ্ছে। বিশ্ব একাদশ এখানে খেলে গেছে, যেখানে সময়ের অনেক বড় ক্রিকেটাররা ছিলেন। পিএসএলের কিছু ম্যাচ হয়েছে এখানে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, শ্রীলঙ্কা দল এখানে এসে কেবল একটি নয়, দুটি টেস্ট খেলে গেল। যদি এশিয়ার এক দেশ আরেক দেশকে সমর্থন না করে, এশিয়ার এক বোর্ড আরেক বোর্ডের পাশে না দাঁড়ায়, তাহলে আমরা কোন পথে এগোব?’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।