মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবিলম্বে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) সিএএ প্রত্যাহার করা হোক। না হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে পা রাখতে দেওয়া হবে না। গতকাল রবিবার (২২ ডিসেম্বর) কলকাতার রানি রাসমনি রোডে জমিয়তে উলেমা হিন্দের এক জনসভা থেকে এমন হুঁশিয়ারি করেছেন রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
তিনি বলেন, “আমরা উনাকে (অমিত শাহ) প্রয়োজনে শহরের বিমানবন্দরের বাইরে পা রাখতে দেব না। উনাকে থামাতে এক লক্ষ মানুষকে জড়ো করবো। আমাদের লড়াই গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ। হিংসায় বিশ্বাস করি না। কিন্তু আমরা সিএএ ও এনআরসি-র প্রতিবাদ করবো।
রাজ্যের এই গ্রন্থাগারমন্ত্রী দাবি করেছেন, কলকাতা-সহ দেশব্যাপী চলা আন্দোলন দেখুন। বিজেপি-কে মানুষ প্রত্যাখান করেছে। তার টিপ্পনি, ছাপান্ন ইঞ্চি ছাতির প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশের মানুষকে পথে নামিয়েছেন। ঘৃণা ও বিভেদের রাজনীতি দিয়ে দেশকে ভাগ করতে চাইছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, “দেখুন ওরা কীভাবে একটার পর একটা সিদ্ধান্ত মানুষের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছেন। ওরা আলোচনা, সমঝোতায় বিশ্বাসী নয়। আমরা এটা কিছুতেই চলতে দেবো না।”
একই সঙ্গে রাজ্যের এই মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে রাজপথে নেমে এই আইনের বিরোধিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে সিএএ ও এনআরসি- বিরোধী আন্দোলনের মাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গোটা দেশ থেকে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে প্রায় ২০ জনের বেশি মৃত্যুর খবর মিলেছে। আটক ও গ্রেফতারের সংখ্যাটা শতাধিক। দেশের একাধিক মেট্রো শহরে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় বন্ধ রাখা হচ্ছে ইন্টারনেট। তাতেও দমছে না নাগরিক আন্দোলন।
সিএএ আইনে রূপান্তরিত হওয়ার পর উত্তর-পূর্বে প্রথমে প্রতিবাদ শুরু হয়। সে রাজ্যগুলির যারা আদিবাসী; নতুন আইনে তাদের অস্তিত্ব সংকট হতে পারে। এমনকী তারা রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বও হারাতে পারে। সেই সংশয় থেকে দীর্ঘ একসপ্তাহ অবরুদ্ধ ছিল আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলো। পিছিয়ে ছিল না পশ্চিমবঙ্গও। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশ থেকে হিংসার কারণে প্রায় ৩০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রের প্রধান শাসক বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছে। ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগের অভিযোগ আনা হয়েছে। সিএএ-র খসড়ায় বলা আছে; দেশের নাগরিকদের এই প্রথম নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে। এই আইন সে সব সংখ্যালঘুদের সাহায্য করবে যারা ধর্মীয় কারণে মুসলিম অধ্যুষিত প্রতিবেশী পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে শরণার্থী হয়ে ভারতে এসেছে। যদিও সমালোচকরা বলছে এই আইন ভারতের মৌলিক ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর পরিপন্থী।
সূত্র: এনডিটিভি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।