নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বে একদিন বিরতির পর আজ আবার মাঠে গড়াচ্ছে খেলা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে চার দলের লড়াইয়ে সবারই লক্ষ্য এগিয়ে যাওয়া। সাগরিকায় দিনের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স মুখোমুখি হবে ঢাকা প্লাটুনের। চার ম্যাচ খেলে ২ জয় ও দুই হার নিয়ে দু’দলেই পয়েন্ট ৪। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে চারে কুমিল্লা ও পাঁচে ঢাকা। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্স মুখোমুখি হবে রাজশাহী রয়্যালসের। চার ম্যাচে একটি মাত্র হার মুশফিকুর রহিমের দলের। বাকি তিনটি ম্যাচ জিতে তার দলের পয়েন্ট ৬। টেবিলে অবস্থান দুইয়ে। রাজশাহী তিন ম্যাচে ২ জয় ও এক হারে পয়েন্ট টেবিলে আছে ঠিক তার পরের অবস্থানেই। অর্থাৎ তিনে। তাই চারটি দলেরই লক্ষ্য থাকবে এগিয়ে যাওয়া। পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করা।
বিপিএলের সপ্তম আসরের ষোলটি ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলে চট্টগ্রামের অবস্থান সবার উপরে। নিজেদের শেষ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরেও ৭ ম্যাচে পাঁচ জয় ও দুই হারে ১০ পয়েন্ট দলটির। ৬ পয়েন্ট নিয়ে খুলনা আছে দুইয়ে। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক হারে রাজশাহী ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে। চার ম্যাচে দুই জয় ও দুই হারে কুমিল্লার অবস্থান তারপরই। একই সমান ম্যাচে সমান জয়-পরাজয় নিয়ে পঞ্চম স্থানে ঢাকা। পয়েন্ট টেবিলে ছয়ে সিলেট। পাঁচ ম্যাচ খেলে একটি মাত্র জয় তাদের। একই সমান ম্যাচ খেলে এক জয় ও চার হারে রংপুর আছে তালিকার তলানিতে।
নিজেদের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ১৬ রানে হেরে জয়ের জন্য মরিয়া দাসুন সানাকার দল। অন্যদিকে নিজেদের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ২০৫ রান করেও ১৬ রানে হারে ঢাকা। তাই জয়ের বিকল্প দেখছে না মাশরাফি মুর্তজার দলও। অপরাজিত খুলনাও এবারের আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে ৮০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে খুইয়েছে অজেয় থাকার তকমা। তাই আরও চেনা ছন্দে ফিরতে চায় মুশফিকুর রহিমের দল। আর রাজশাহী নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলেছে খুলনার বিপক্ষেই। সে ম্যাচ হারের পর এবার জয় তুলে নিতে চায় তারা।
সারা দেশে কাঁপা কাঁপা শীতের প্রভাব রয়েছে চট্টগ্রামেও। তা স্বত্ত্বেও আজকের ম্যাচের আগে অনুশীলনের দীর্ঘ সময় ব্যয় করেছে সব দলই। ব্যাটসম্যানরা নেটে প্যাকটিস করছেন ব্যাটিং। বোলাররা চর্চা করছেন বোলিংয়ের। অন্যদিকে ফিল্ডিংয়ে মনযোগী দলের সব সদস্যই। রান ফোয়ারার চট্টগ্রামের পিচে দর্শকখরা কাটিয়ে হয়ে উঠেছে হাউজফুল। প্রতিটি ম্যাচই যেভাবে উত্তেচনায় পূর্ণ হয়ে উঠছে তাতে দর্শকরা ঘরে বসেই বা থাকবেন কি করে। দুইশ রানের অধিক স্কোর দেখা গেছে শেষ কয়েকটি ম্যাচে। বিপিএলের পিচ এমনই থাকুক, তাই প্রত্যাশা সমর্থকদের। দুই দলের ব্যাটে-বলের লড়াই হয়ে উঠুক আরও আকর্ষনীয়। তাহলে বিপিএলের আসরে দর্শক সমাগম যেমন হবে, তেমনি প্রাণ ফিরে পাবে আসরটিও। চট্টগ্রামের মাঠে আরেকটি হাড় কাপানো লড়াই এখন সবার প্রত্যাশা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।