নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কাছাকাছি গিয়েছিলেন বেশ ক’জনই। এই চট্টগ্রামেই গত মঙ্গলবার রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে মুশফিকু রহিমই পেয়েছিলেন সবচেয়ে বড় সুযোগ। সেদিন মাত্র ৪ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল খুলনা টাইগার্স অধিনায়ককে। গতকাল তাকে সাক্ষী রেখেই বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন সিলেট থান্ডারের আন্দ্রে ফ্লেচার। এ নিয়ে বিপিএলে সেঞ্চুরি হলো মোট ১৯টি। গত আসরেই হয়েছিল ছয়টি। যার চারটিই হয়েছিল আবার এই সাগরিকায়।
এবারও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ভুরিভুরি রান উঠলেও সেঞ্চুরির দেখা মিলছিল না। গতকাল তিন নম্বরে নেমে যেভাবে ব্যাট চালাচ্ছিলেন জনসন চার্লস তাতে মনে হয়েছিল, এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিটা বুঝি তিনিই করবেন। তবে শহিদুল ইসলামের বলে নার্ভাস নাইন্টিজে আউট হয়ে যান তিনি। তবে চার্লস না পারলেও পেরেছেন তার স্বদেশী ফ্লেচার। দুই উইন্ডিজের ব্যাটে চড়ে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহও পেয়েছে সিলেট থান্ডার।
ম্যাচের ১৯তম ওভারে মোহাম্মদ আমিরের করা বল থার্ডম্যানে ঠেলে দিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান ফ্লেচার। সেঞ্চুরি করতে ৫৩টি বল খেলেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। ১১টি চার ও ৫টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। চার্লসের সঙ্গে গড়েছেন ৭০ বলে ১৫০ রানের দারুণ এক জুটি যা বিপিএলের ইতিহাসে সপ্তম সর্বোচ্চ জুটি।
চার্লস যখন মাঠে নামেন, তখন ৯ রানে ব্যাট করছিলেন ফ্লেচার। পরে তাকে ছাড়িয়ে বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পারেননি। আউট হয়ে যান ব্যক্তিগত ৯০ রানে। মাত্র ৩৮ বলের ইনিংসে ১১টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন তিনি। তখন ৬৫ রানে ব্যাট করছিলেন ফ্লেচার। এরপর দলকে বিশাল সংগ্রহের পথে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্বটা পড়ে তার কাঁধেই। দারুণ ব্যাট করে সেঞ্চুরি তো তুলে নেনই, দলকে এনে দিয়েছেন ২৩২ রানের বিশাল সংগ্রহ। আর তাতেই প্রথম জয়ের ভিত পায় আগের চার ম্যাচে হারা সিলেট। বিপিএলের ইতিহাসে এর চেয়ে বড় স্কোর আছে কেবল তিনটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।