মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে দেশটির মুসলিম জনসংখ্যাকে আরও কোণঠাসা করার পদক্ষেপ নিয়েছে। সমালোচকরা আসামে এনআরসি-র একচেটিয়া ব্যবহারকে ধর্মীয় উত্তেজনা থেকে মুক্ত করার উপায় হিসাবে উপহাস করেছে। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে আসামের জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশ মুসলিম এবং রাজ্যের ৮টি জেলায় মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
আগস্টে এই অঞ্চলের ১৯ লাখ মানুষকে কার্যকরভাবে তাদের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেয়ার কারণে নিবন্ধভুক্ত করা হয়নি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এনআরসির সমালোচনা করেছে এবং বলেছে যে, এটি অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের ভবিষ্যতকে অনিশ্চিত করে ফেলেছে।
রয়টার্সের মতে, সেপ্টেম্বরে ভারত আসামের গোয়ালপাড়া জেলায় একটি বৃহৎ আকারের আটক কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু করেছিল, যার বন্দি ধারণ ক্ষমতা কমপক্ষে ৩ হাজার।
এবং আগস্টে ভারত তার সংবিধানের এমন একটি অংশও প্রত্যাহার করে নিয়েছে যা জম্মু ও কাশ্মীরের বিতর্কিত অঞ্চলটিকে একটি বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিল। গত চার মাস ধরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল কাশ্মীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, অবরুদ্ধ এবং এখন সরাসরি নয়াদিল্লির ফেডারেল সরকারের শাসনাধীন।
যোগাযোগ বন্ধের অংশ হিসাবে কাশ্মীরের বাসিন্দারা ফোন লাইন এবং ইন্টারনেট অ্যাক্সেস হারিয়ে ফেলেছে। অ্যাডভোকেসি গ্রæপগুলির মতে, এই অঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধ হচ্ছে গণতন্ত্রের উপর চাপানো দীর্ঘতম ক্র্যাকডাউন। চীন ও মিয়ানমারের মতো কেবল কর্তৃত্ববাদী দেশগুলিতে দীর্ঘকালীন ইন্টারনেট বন্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
চার মাসের ইন্টারনেট বন্ধ থাকা এতটাই মারাত্মক হয়েছে যে, এত দিন ধরে নিষ্কিয় থাকায় হোয়াটসঅ্যাপ অঞ্চলের বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলছে।
মুসলমানদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র-অনুমোদিত বৈষম্যের পরিণতি মারাত্মক
সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর প্রতি মোদি সরকারের মনোভাব ও নীতি জাতিগতভাবে অনুপ্রাণিত সংঘাতের জন্ম দিয়েছে এবং পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে, শাসক হিন্দু দল সহিংসতা মোকাবেলায় নিষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে দায়মুক্তির সংস্কৃতি জোরদার করেছে। নাগরিকত্ব বিলটি তৈরির কারিগর অমিত শাহ গত এপ্রিল মাসে প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসরত মুসলিম অভিবাসীদের বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর আগে তিনি দেশের অবৈধ অভিবাসীদের ‘ইউপোকা’ হিসাবে উল্লেখ করেন।
সা¤প্রতিক মাসগুলিতেও ভারতে মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারীর এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, ২০১৫ মে থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের ১২টি রাজ্যে কমপক্ষে ৩৬ জন মুসলমান নিহত হয়েছেন। একই সময়ের মধ্যে ২০টি রাজ্য জুড়ে প্রায় ২৮০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাইটস গ্রুপটি।
গতবছর একটি বিশেষভাবে ভয়াবহ ঘটনায়, জম্মু ও কাশ্মীরের মুসলিম যাযাবরদের সে অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করার লক্ষ্যে একদল হিন্দু পুরুষ ৮ বছর বয়সী একটি মুসলিম শিশুকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা করেছিল।
দেশটি মুক্ত গণমাধ্যম ও প্রতিবাদের ওপর আক্রমণ দেখেছিল এবং ইতিহাসের বইগুলি হিন্দু কৃতিত্বের পক্ষে আবারও লেখা হয়েছে। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।