নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
লড়াইটা হলো সেয়ানে সেয়ানে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ঝড় তুললেন আভিশকা ফার্নান্দো। মাঝে দলকে টানলেন লেন্ডল সিমন্স ও ইমরুল কায়েস। শেষটায় টর্নেডো ইনিংস খেললেন মাহমুদউল্লাহ। ঢাকা প্লাটুনের বোলিং উড়িয়ে রানের পাহাড় গড়ল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তখনও কে জানতো লোকালবয় তামিম ইকবালকে ছাড়াই টি-টোয়েন্টির রসদে ঠাঁসা এক ম্যাচের সাক্ষী-ই হতে যাচ্ছে চট্টগ্রালাবাসী!
ঢাকা প্লাটুনের হয়ে ইটের জবাবের শুরুটা পাত্থরে দিলেন আরেক লোকাল হিরো কক্সবাজারের ছেলে মুমিনুল হক (৫২), মারকাটারি ক্যামিও উপহার দিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা (২৩)। আরেকপাশ আগলে শেষ পর্যন্ত আশা জিইয়ে রাখলেন থিসারা পেরেরা (৪৮)। তবে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই জয়-পরাজয়ের এই খেলা কাউতে না কাউকেতো জিততেই হতো- সেখানেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ঝান্ডা সমুন্নত রাখলেন একজন- মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সন্ধ্যার ম্যাচে ৪ উইকেটে ২২১ রান করে স্বাগতিক দল। চলতি আসলে এটাই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আগের দিনই রাজশাহীর বিপক্ষে লক্ষ্য তাড়া করে ১৯২ রান তুলেছিল খুলনা টাইগার্স। তবে সব বিপিএল মিলিয়ে ইনিংসটি তৃতীয় সর্বোচ্চ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই চট্টগ্রামেই চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৩৯ রান তুলেছিলেন রংপুর রাইডার্স। দ্বিতীয়টিও গতবার এই সাগরিকায়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ২৩৭। চট্টগ্রামের মাঠে এ নিয়ে সাতবার দুইশ রানের বেশি করল কোন দল।
যার কৃতিত্ব পুরোটাই দিতে হয় চট্টগ্রাম অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে। সিমন্স যখন আউট হন তখন উইকেটে নামেন মাহমুদউল্লাহ। তবে এর আগেই ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সূচনাটা করে দিয়ে যান এই ক্যারিবিয়ান। ফার্নান্দো ওপেনিং জুটিতে করেন ৫১ রান। দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুলের সঙ্গেও গড়েন ৫০ রানের জুটি। পাওয়ার প্লেতেই দল পায় ৭৪ রান। আগের ম্যাচের মতো এবারও রান আউট হবার আগে সিমন্সের ৩৬ বলে খেলা ৫৭ রানের ইনিংস গড়া চার ছক্কা ও পাঁচ চারে।
গিয়েই ছক্কা হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলা মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দ্রুত জমে যায় ইমরুলের জুটি। একটু পরই বাধে গোল। ঘটনা দ্বাদশ ওভারের শেষ বলে নন স্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সতীর্থের ডাকে দুই রান নিতে গেলেন। তাতেই ঝামেলাটা হয়ে যায়। পেশীতে টান লাগে তার। এরপর বেশ কিছুক্ষণ প্রাথমিক শুশ্রুষা নিলেন। ব্যাটিংও করলেন। তবে প্রায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। কিন্তু তারপরও ঝড় তুললেন এ ব্যাটসম্যান। ইমরুলের সঙ্গে করলেন ২৭ বলে ৬২ রানের জুটি। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিদূর অবশ্য যেতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। চট্টগ্রাম দলপতির ২৮ বলে খেলা ৫৯ রানের দারুণ ইনিংসটি ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় রাঙানো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।