পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
বাবরি মসজিদ ভাঙার দৃশ্য মঞ্চস্থ করেছে ভারতের কর্নাটকের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) পরিচালিত একটি বিদ্যালয়। সামাজিকমাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, কাল্লাকা গ্রামে শ্রী রাম বিদ্যাকেন্দ্র হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা বাবরি মসজিদের পোস্টার ছিড়ে ‘বলো শ্রী রামচন্দ্র কি জয়’ বলে সেøাগান দিচ্ছে।
স্কুলটির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষ্যে মঞ্চস্থ করা হয়েছে এ নাটক। বাবরি মসজিদ ভাঙার দৃশ্য মঞ্চস্থ করার পর সেখানে একটি রাম মন্দির নির্মাণেরও অভিনয় করা হয়। অনুষ্ঠানে ভারতের রাসায়নিক ও সার বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডিভি সদানন্দ গৌদা, পুদুচেরির গভর্নর কিরন বেদি, কর্নাটকের মন্ত্রী এইচ. নাগেশ ও শশীকলা জলি উপস্থিত ছিলেন।
এক টুইট বার্তায় মসজিদটির জায়গায় প্রস্তাবিত রাম মন্দির নির্মাণের দৃশ্য মঞ্চস্থ করায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করেছেন কিরন বেদি। তবে বাবরি মসজিদ ভাঙার দৃশ্যের বিষয়টি তিনি পাশ কাটিয়ে গেছেন টুইটে। কর্নাটকের বিরোধী দল কংগ্রেস এ ঘটনায় ওই স্কুলের বিরুদ্ধে শাস্তিম‚লক পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে।
ধর্মীয়বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে স্কুলটির বিরুদ্ধে একটি এজাহার দাখিলের আহŸান জানিয়েছেন ভারতীয় যুব কংগ্রেসের জাতীয় প্রচারের দায়িত্বে থাকা ওয়াইবি শ্রীভাস্ত। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মগজ ধোলাই করতে ও তাদের ভেতর ঘৃণা ঢুকিয়ে দিতে এটা আরএসএসের এজেন্ডার অংশ। এটা খুবই দুঃখজনক যে শিক্ষার্থীদের সহিংসতায় অংশ নিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
পুলিশকে অবশ্যই এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যদি এমন ঘটনা স্বাভাবিকীকরণ করা হয়, তবে আমরাও নাৎসি জার্মানির মতোই হয়ে যাব। তবে স্কুলটির ব্যবস্থাপনা ট্রাস্টি ও আরএসএসের দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের নির্বাহী কমিটির সদস্য কাল্লাদখা প্রভাকর ভাট বলেন, এর মধ্যে তিনি ভুল কিছু দেখতে পাচ্ছেন না। এতে সা¤প্রদায়িক কিংবা সহিংসতা উসকে দেয়ার মতো কিছুই ঘটেনি।
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বাবরি মসজিদ যদি ঐতিহাসিক ঘটনা হয়, তবে তা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। কিন্তু সেই ঘটনা মঞ্চস্থ করায় কী ভুল আছে?
প্রভাকর ভাট বলেন, জালিওয়ান ওয়ালাবাগের হত্যাকান্ড কি আমরা মঞ্চস্থ করি না? কাজেই ১৯৯২ সালে কী ঘটেছিল, সেটা মঞ্চস্থ করা ভুল, তা আপনি কী করে বলেন? শিশু ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জানা উচিত, সেদিন কী ঘটেছিল। তার মতে, কয়েকশ বছর ধরে মসজিদটি সেখানে একটি স্থাপনা হিসেবে ছিল। সেখানে কোনো কার্যক্রম ছিল না। আমাদের সবার জানা উচিত সেখানে একটি মন্দির ছিল। ভিডিওতে দেখা গেছে, সাদা ও জাফরান রঙের পোশাকের শিক্ষার্থীরা বাবরি মসজিদের একটি বড় পোস্টারের সামনে দাঁড়িয়েছে। পোস্টারটির পটভ‚মিতে ‘শ্রী রাম, জয় রাম’ নাটকটি রয়েছে। একজন কথক তখন কন্নড় ভাষায় বলেন, কীভাবে হনুমান ভক্ত ক্রোধ প্রকাশ করবে। পরে শিক্ষার্থীরা পোস্টারের দিকে ছুটে যায়। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া ও দ্য প্রিন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।