Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভারত এবং ভারতীয়রা ভাগাভাগি হজম করতে পারে না! কেন্দ্রকে তোপ প্রণবের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ থেকে আইন বলবৎ অবধি মুখ খোলেননি দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়। এবার মুখ খুললেন তিনি। আর মুখ খুলেই কেন্দ্র সরকারকে সতর্কীকরণ বার্তা দিয়ে বললেন, 'সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই যা খুশি করা যায় না!'
দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রণব এদিন হাবেভাবে বুঝিয়ে দিলেন যে, নির্বাচনে জনতা শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলকে স্থায়ী সরকার গড়ার অধিকার দেয়। তার অর্থ কখনই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নয়, একথাও পরিষ্কার বলে দিলেন প্রণব।
নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনে অটল বিহারি বাজপেয়ীর দ্বিতীয় স্মারক বক্তৃতায় প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, 'সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসলে স্থায়ী সরকার গড়ার অধিকার দেয়। কিন্তু কখনই তা জনপ্রিয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হয়ে উঠতে পারে না! সেই ক্ষমতা কেন্দ্রকে কখনও সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার হতে দেয় না। এটাই আসল সংসদীয় গণতন্ত্রের বার্তা।'
এদিন বক্তব্যে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আরও উল্লেখ করেন যে, ১৯৫২ সাল থেকে বিভিন্ন দলকে শক্তিশালী সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে দেশের আম আদমি। সেই থেকে কোনও দলই ৫০ শতাংশ ভোট পায়নি। বিগত লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশের মোট ভোটের ৩৮ শতাংশ পেয়েছিল বিজেপি। যেটা হিসেবে নিরিখে কখনই শক্তিশালী সংখ্যাগরিষ্ঠতা হয়ে উঠতে পারে না। অন্যদিকে বিরোধী দল কংগ্রেসই ১৯৮৯ সালে ৩৯.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে রেকর্ড করেছিল। সেই রেকর্ড আজ অবধি কেউই ভাঙতে পারেনি।
এই প্রণব মুখোপাধ্যায়ই গত বছর নাগপুরে আরএসএস দফতরে গিয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত সে সময়ে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসরা করে বলেছিলেন, 'ভারতমাতার সেরা সন্তান।' সেই প্রণব মুখোপাধ্যায় দেশের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনই বেশ ভালোই সম্পর্ক ছিল প্রধনামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। এমনই বাতাবরণে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, নাগরিক সংশোধনী আইন নিয়ে হয়তো মুখে কুলুপ এঁটেই থাকবেন।
এই সন্ধিক্ষণেই মুখ খুললেন দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট । দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রশংসাও শোনা গেল তাঁর মুখ থেকে। বললেন, 'ভারত এবং ভারতীয়রা ভাগাভাগি হজম করতে পারে না! ১২,৬৯,২১৯ বর্গ মাইলজুড়ে বিস্তৃত আমদের একটা জাতি। সাতটি মূল ধর্মের দেশ, ১২২টি ভাষা এবং ১৬০০ উপভাষায় কথা বলেন এ দেশের মানুষ। অটলজি এই বাস্তবটা মেনে নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন দূরদর্শিতা সম্পন্ন এক ব্যক্তি।' সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ