নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অনুশীলনে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা সবাই এলেন মাথায় মহান বিজয় দিবসের ব্যান্ড পরে। মাঠে নেমেই প্রথমে উদযাপন করলেন বিজয়ের আনন্দ। কোচ পল নিক্সনকেই দেখা গেল বেশি উচ্ছ্বসিত। ভাঙা ভাঙা বাংলায় উচ্চারনের চেষ্টা করলেন ‘মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা’। পরে সেটিকে ইংরেজিতেও বললেন ‘হ্যাপি ভিক্টরি ডে’। এমন আনন্দ আজ সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে জিতে আবারও উদযাপন করতে চান এই ইংলিশ। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব জয় দিয়ে শুরু করতে চায় চ্যালেঞ্জার্সরা। তিন ম্যচের দু’টিতে জিতে দলের খেলোয়াড়রা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। চট্টগ্রামে তারা খেলবে চারটি ম্যাচ। ঘরের মাঠের সব ম্যাচই জিতে শেষ চার নিশ্চিত করতে চায় দলটি। তবে অন্তত তিনটি ম্যাচ জিতলেও সন্তুষ্ট থাকবে।
অপরদিকে তিন ম্যাচের সব ক’টি হেরে থান্ডারের ভান্ডার একেবারেই শূন্য। তাই আজকের ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়াতে চায় সিলেট। তবে জিততে হলে তাদের করতে হবে কঠোর পরিশ্রম। কারণ হোমগ্রাউন্ডের সুবিধা থাকবে চট্টগ্রামের দিকে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। লিগের প্রথম ম্যাচে দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে জিতেছিল চট্টগ্রাম।
আজকের ম্যাচ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের নুরুল হাসান সোহান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ম্যাচই ভালো খেলতে চাই। চট্টগ্রামের চারটি ম্যাচই জেতার টার্গেট নিয়ে মাঠে নামবো। যদি ব্যাট ও বল কথা বলে তাহলে শেষ চারে যেতে তেমন অসুবিধা হবে না। সেজন্য চট্টগ্রামের ম্যাচগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ দলের অপরিহার্য খেলোয়াড় ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যোগ দেয়ার পরে দলের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন সোহান, ‘হোমগ্রাউন্ডে খেলছি। দর্শকরা আমাদের পাশে থাকবে। এটা দলের জন্য বাড়তি পাওনা।’
চট্টগ্রাম দলের কোচ পল নিক্সন বলেন, ‘ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিং বান্ধব হবে। হাইস্কোরিং ম্যাচ হতে পারে। আমাদের ভালো ব্যাটসম্যান ও বোলার রয়েছে। তাই চিন্তার কোন কারণ নেই। চট্টগ্রামের সবগুলো ম্যাচ জেতার সামর্থ্য আছে আমার দলের।’ তিন ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে থাকা দলটিকে কক্ষপথে ফেরাতে চান সিলেট অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন, ‘আমরা এখনো জয়ের দেখা পাইনি। তাই এই মুহূর্তে অন্তত একটি জয় প্রয়োজন। সেটি কালকের (আজ) ম্যাচে হলে ভালো হয়। তবে জিততে হলে দু’একজন ভালো খেললে হবে না, সবাইকে সম্মিলিতভাবে পারফর্ম করতে হবে।’
দুপুর দেড়টায় একই স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে শীর্ষে থাকা রাজশাহী রয়্যালস ও খুলনা টাইগার্স। ঢাকায় দুই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে রাজশাহী। এখনো পর্যন্ত কোন ম্যাচ হারেনি তারা। আজকের ম্যাচেও জয়ের ধারবাহিকতা বজায় রাখতে চায় রাজশাহী।
অপরদিকে এক ম্যাচ খেলে এক জয় পাওয়া খুলনাও চায় জয়ে ফিরতে। আগের দুই ম্যাচে রাজশাহীর জয়ের পেছনে লিটন দাস বড় ভূমিকা রাখেন। গতকাল অনুশীলনের ফাঁকে এই ওপেনার বলেলেন, ‘জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবো। প্রতিপক্ষ খুলনা অনেক শক্তিশালি। তারা ব্যালেন্স টিম। রাইলি রুশো, মুশফিক , ফ্রাঙ্কলিন, শান্তসহ কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় রয়েছে তাদের। আন্দ্রে রাসেলের হাঁটুর কিছুটা সমস্যা রয়েছে। এটা বড় কিছু না। এ অবস্থায়ও সে খেলতে পারছে।’
রাজশাহীকে শক্ত প্রতিপক্ষ মানলেও জয়ের বিকল্প ভাবছেন না খুলনার শামসুর রহমান শুভ, ‘রাজশাহী ভালো অবস্থানে আছে। সব বিভাগেই তারা ভালো। তবে ক্রিকেট খেলায় যে কোন কিছু হয়ে যেতে পারে। যে ভালো খেলবে, সেই জিতবে। প্রথম ম্যাচ ভালো খেলেছি আমরা। কালকের (আজ) ম্যাচও সেইরকম খেলে জিততে চাই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।