বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যারা পাকিস্তান সরকারের চাকরি করেছেন, তাদের নিরাপত্তায় অফিস আদালতে আসা যাওয়া করেছেন, বেতন-ভাতা নিয়েছেন, আর্মি কর্ডনে সন্তান জন্ম দিয়েছেন- তাদের মুখ থেকে রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতার মহান ঘোষক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে কোন কটূক্তি মানায় না বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। দেশের ১৭ কোটি মানুষ ক্ষোভে ফুসছে উল্লেখ করে তারা বলেছেন, জিয়া পরিবার ও খালেদা জিয়ার অসামান্য জনপ্রিয়তা সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা রয়েছে বলেই রাতের ভোটের সরকার আজ্ঞাবহ আদালতকে ব্যবহার করে তার জামিনের আপীল খারিজ করিয়ে দিয়েছে। সরকারকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, অনন্তকাল বাংলার মসনদ দখল করে রাখা যাবেনা। পতন তোমাদের হবেই। সে পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির একজন নেতাকর্মীও ঘরে ফিরে যাবেনা।
বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন আপীল বিভাগে খারিজ হয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে খুলনায় রবিবার অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১১ টায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ ভাবে কর্মসুচির আয়োজন করে।
সভাপতির বক্তৃতায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভূখন্ডের প্রতি আগ্রাসী ভারতের শ্যেনদৃষ্টি ছিল বহুকাল ধরেই। তারা এদেশের ভেতর দিয়ে তাদের বাণিজ্য ও অস্ত্র পরিবহন করতে চায়। এ দেশকে নিয়ন্ত্রণ করার স্বার্থে তারা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছে। তাদের চক্রান্তেই আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। সুষমা স্বরাজদের নগ্ন তৎপরতার মানুষের চোখের সামনে এখনও ভাসছে। এনআরসি নিয়ে ভারত আজ নিজেই জ্বলছে দাবি করে তিনি বলেন, তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ দাবি করেছেন বাংলাদেশে নাকি সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে। আমি তাকে খুলনায় আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এ শহরের বড় বড় সুন্দর বাড়িগুলো হিন্দুদের। কোটি কোটি টাকার ব্যবনা-বাণিজ্য তাদের। তারা খুবই নিরাপদে আছেন। তাদেরকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবেনা। আপনার দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
আসাদুজ্জামান মুরাদ ও ওহেদুজ্জামান রানার পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, আমীর এজাজ খান, অধ্যাপক ডাঃ গাজী আব্দুল হক, মীর কায়সেদ আলী, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, সিরাজুল হক নান্নু, সাইফুর রহমান মিন্টু, একরামুল হক হেলাল, মুজিবর রহমান, নেহিবুল হাসান নেহিম, শরিফুল ইসলাম বাবু, মোল্লা কবির হোসেন প্রমুখ। সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল মান্নান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, রেহানা আক্তার, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, এ্যাড. মানুম রশিদ, এস এ রহমান বাবুল, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, কামরুজ্জামান টুকু, আশরাফুল আলম নান্নু, মেজবাউল আলম, আব্দুর রকিব মল্লিক, মহিবুজ্জামান কচি, মেহেদী হাসান দীপু, আজিজুল হাসান দুলু, ইকবাল হোসেন খোকন, সাদিকুর রহমান সবুজ, এহতেশামুল হক শাওন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।