Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ম্যাড়ম্যাড়ে ব্যাটিংয়েই দর্শক খরা!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

টি-টোয়েন্টি মানেই ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং ও দর্শকদের উল্লাস। কিন্তু বিপিএলে এখন পর্যন্ত তার কতটুকু দেখা যাচ্ছে? প্রশ্নটা উঠছেই। খাঁ খাঁ গ্যালারির সঙ্গে বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানের শম্বুক ব্যাটিং-ই এই বিশেষ বিপিএলের আপাত প্রামাণ্য চিত্র। গতকাল সিলেট থান্ডার-রাজশাহী রয়্যালসের ম্যাচেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। আগে ব্যাট করতে নেমে সিলেট এক শ রানও তুলতে পারেনি। অলআউট হয়েছে ৯১ রানে।

ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি টইটম্বুর না হোক অন্তত চোখে পড়ার মতো দর্শকসংখ্যার আশা ছিল। কিন্তু কোনোভাবেই দর্শক টানতে পারছে না জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে নাম পাওয়া বিশেষ এই বিপিএল!

মাঠের খেলা জমজমাট হলে অবশ্য পরিস্থিতি পাল্টেও যেতে পারে। এদিন যেমন সিলেটের ব্যাটিং টিভি সেটে দেখে গ্যালারিতে গিয়ে ম্যাচ দেখার আশা মরে যেতে পারে! কিংবা গ্যালারিতে বসে থাকা দর্শকরা স্টেডিয়াম ছেড়ে কেউ কেউ যখন বেরিয়ে গেছেন তাদের দোষও দেওয়া যায় না। সিলেটের কোনো ব্যাটসম্যান যে ২০ রানের ওপাশেও যেতে পারেনি!

১৫.৩ ওভার টিকেছে সিলেটের ইনিংস। এর মধ্যে দলটি সবশেষ বাউন্ডারি পেয়েছে ৭.৪ ওভারে। এরপর আর বাউন্ডারির দেখা মেলেনি। ওই ওভার শেষে সিলেটের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৬৩। এখান থেকে পরের ৪৭ বলে মাত্র ২৮ রান তোলার বিনিময়ে সিলেট হারিয়েছে বাকি ৭ উইকেট। ১৪তম ওভারে আরেকটি ডেলিভারি পেলে ফরহাদ রেজা হয়তো হ্যাটট্রিকও পেতে পারতেন! ওই ওভারে ৩ উইকেট নেওয়া রাজশাহীর এ পেসার শেষ দুই বলে নিয়েছেন ২ উইকেট। কিন্তু তার দুর্ভাগ্য বোলিংয়ে ফেরার আগেই পরের দুই ওভারে শেষ ২ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় সিলেট।

হ্যাটট্রিকের দেখা পেতে পারতেন অলক কাপালিও। পঞ্চম ওভারে শেষ দুই বলে জনসন চার্লস ও জীবন মেন্ডিসকে তুলে নেন এ অলরাউন্ডার। যদিও শুরুটা ভালোই করেছিলেন সিলেটের দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও চার্লস। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে আন্দ্রে রাসেলকে উইকেট দেওয়ার আগে চার্লসের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়েন রনি। এ জুটিটাই সিলেটের ইনিংসে সর্বোচ্চ। চতুর্থ উইকেটে ৩১ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মোসাদ্দেক-মিঠুন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুজন আউট হওয়ায় বেশি দূর এগোতে পারেনি সিলেট। দুজনের ব্যাট থেকেই এসেছে সর্বোচ্চ ২০ রান। রাজশাহীর হয়ে ৩ ওভারে ১৭ রানে ৩ উইকেট নেন কাপালি। ২টি করে উইকেট রবি বোপারা ও ফরহাদ রেজার।

লক্ষ্যটা এক শ রানেও নিচে। রাজশাহী রয়্যালস তাই নির্ভার হয়েই উড়ন্ত সূচনা করতে পারত। কিন্তু উড়ন্ত সূচনাটা করলেন সিলেট থান্ডারের স্পিনার নাঈম হাসান। তার তৃতীয় বলেই বোল্ড হযরতউল্লাহ জাজাই। বিশ্রী এক শট খেলে আউট হয়েছেন এ আফগান। তখন অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন, লো-স্কোরিং এ ম্যাচে হয়তো উত্তেজনা ভর করতে পারে। কিন্তু আফিফ হোসেন-লিটন দাস মিলে সিলেট সমর্থকদের প্রত্যাশিত উত্তেজনায় পানি ঢেলে দিলেন। মাত্র ১০.৫ ওভারেই ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় রাজশাহী।

সপ্তম ওভারের শেষ বল পর্যন্ত টিকেছে লিটন-আফিফের জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৯ বলে ৬২ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন দুজন। ২৫ বলে ৩০ রান করে আফিফ যখন (৬.৬ ওভার) আউট হলেন ম্যাচের ভাগ্য ততক্ষণে নির্ধারিত। লিটন অন্য প্রান্তে দ্যুতি ছড়িয়েছেন উইকেটের চারপাশে বাহারি সব স্ট্রোক খেলে। এই ছুটির দিনে বিকেলে গ্যালারিতে আসতে শুরু করা দর্শকেরা লিগের স্ট্রোক প্লে-তে আগের ইনিংসে সিলেটের ব্যাটিংয়ের রানখরা ভুলে যেতে পারেন। আফিফের কথাও বলতে হয়। চতুর্থ ওভারে এবাদত হোসেনকে কভারের ওপর দিয়ে যে ছক্কাটা মারলেন, ¯্রফে চোখ জুড়িয়ে দেয়। লিটন ও শোয়েব মালিক মিলে জয় তুলে নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতাটুকু সেরেছেন। ২৬ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন লিটন। ৭টি চার মারেন তিনি। অন্য প্রান্তে ১১ বলে ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন শোয়েব।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিপিএল

২৭ জানুয়ারি, ২০২৩
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ