নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের কারোরই সাধারণত বিপিএলে এক দলে খেলার সুযোগ হয় না। বঙ্গবন্ধু বিপিএল সেই সুযোগ করে দিয়েছে। একই দলে আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তামিম ইকবাল। এনামুল হক বিজয় মনে করছেন, অভিজ্ঞ এই দুই ক্রিকেটারের উপস্থিতি অনেক বেশি উজ্জীবিত রাখবে ঢাকা প্লাটুনকে।
মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও তামিমের এক দলে খেলা বেশ বিরল। বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে একই দলে ছিলেন মাশরাফি ও সাকিব। সেটাই পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের মধ্যে অন্তত দু’জনের একই দলে খেলার এখন পর্যন্ত একমাত্র নজির। এবারের আসরের নিলামে দ্বিতীয় ডাকে দেশসেরা ওপেনার তামিমকে দলে নেয় ঢাকা। পরে অ’ম রাউন্ডে তারা ডাকে অভিজ্ঞ পেসার মাশরাফিকে। দলপতির আর্মব্যান্ডও দেয়া হয়েছে বিপিএলের সবচেয়ে সফল এই অধিনায়ককে। এই দুই জনকে একই দলে পেয়ে রোমাঞ্চিত এনামুল, ‘অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকা খুবই জরুরি। বিদেশি সিনিয়র টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়ও আছে। প্রতিটা দলেই কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় থাকা গুরুত্বপূর্ণ। আর উনাদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার থাকা মানে তো দল অনেক বেশি রোমাঞ্চের। এমন দলে খেলতে পারাও সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
গত বিশ্বকাপের পর থেকে মাঠের বাইরে রয়েছেন মাশরাফি। চোটের ধাক্কা সামাল দিয়ে বিপিএল দিয়ে মাঠে ফেরার অপেক্ষায় অনুপ্রেরণাদায়ী এই অধিনায়ক। নামবেন অধিনায়ক হিসেবে পঞ্চম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে। পারিবারিক কারণে ভারত সফরে যাননি তামিম। বিপিএল দিয়ে তিনিও ফিরছেন মাঠে। এক সঙ্গে অনুশীলনের অভিজ্ঞতা থেকে এনামুল জানান, খুব ভালো অবস্থানে আছেন দুই জনই, ‘মাশরাফি ভাইয়ের তো প্রতি বলই জায়গায় পড়ছে, এটা দারুণ ব্যাপার। এতদিন পরে এসেও ভালো জায়গায় বল করছেন। তামিম ভাইয়ের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছে রানেই আছেন। আমার মনে হয় তারা দুজন দারুণ অবস্থায় আছেন। ইনশাআল্লাহ দলকে তারা বড় কিছুই দেবেন।’
এতো গেল ক্রিকেটারদের খবর। একটি জায়গায় আরো স্বতন্ত্র প্লাটুন ঢাকা। এবারের বিপিএলে সাত দলের ছয়টিই নিয়েছে বিদেশি কোচ। একমাত্র এই দলটিতেই আছেন স্থানীয় কোচ। মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে যে কোনো সময়ে মনের কথা খুলে বলতে পারেন দলের সবাই, সেদিক থেকে বাড়তি সুবিধা পাওয়ার সুযোগ দেখছেন বিজয়, ‘আসলে মনের কথাগুলো বলতে দেশি কোচ হলে কাজটা সহজ হয়। সব খেলোয়াড় কিন্তু একদম ফ্লুয়েন্ট ইংরেজি বলতে পারে না। তো দেশি কোচ থাকলে কি হয়, যোগাযোগের খুব সুন্দর একটা ব্যবস্থা থাকে। আমরা নিজেরা নিজেরা বলতে পারি আমাদের শক্তি, দুর্বলতা। বা আমাদের অবস্থান কেমন ইত্যাদি।’
গত বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ ছিলেন সালাউদ্দিন। সে দলে ছিলেন বিজয়, আফ্রিদিও। দুইবার বিপিএলে শিরোপা জেতা একমাত্র কোচও তিনি। এক সময়ের জাতীয় দলের সহকারী এই কোচ ঘরোয়া ক্রিকেটে সাফল্য পাচ্ছেন নিয়মিত। বিজয় মনে করেন, সাফল্যের পেছনে বড় অবদান আছে তার কোচিংয়ের ধরনে, ‘খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগের দিক থেকে সালাউদ্দিন স্যার সবার থেকে সেরা আমার মনে হয়। উনি প্রতিটা খেলোয়াড়ের কাছে যান। স্যারের দলে খেলে প্রতিটা খেলোয়াড়ই আনন্দ পায়। যেকোনো সময় যেকোনো খেলোয়াড়কে সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকেন। এমন কোচের অধীনে খেলে শেখার অনেক কিছু আছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।