নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচটাই যেন আফগানময়। প্রথম ইনিংসে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ওপেনার ইয়াসির আলি ও ভানুকা রাজাপাকসের সামনে বল হাতে দাঁড়িয়েছিলেন আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ বোলার ও রংপুর রেঞ্জার্সের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। পরের ইনিংসে রংপুরের দুই ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ নাঈমের সামনেও আরেক আফগানি স্পিনার মুজিব-উর-রহমান। ও, মুজিবের সামনে ব্যাটিংয়েও যে তার সতীর্থই ছিলেন। তিনি শেহজাদ। উভয় ইনিংসের শুরুতেই আফগান স্পিনাররা সফলও ছিলেন। নবী উইকেট পেয়েছিলেন নিজের প্রথম বলেই। আর মুজিব দ্বিতীয় ওভারে। তবে বিপিএলে আফগানময় ম্যাচে উজ্জ্বল হয়ে থাকলেন কুমিল্লার অধিনায়ক ও শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার দাসুন সানাকা। তার ৩১ বলে অপরাজিত ৭৫ রানই গড়ে দিল ব্যবধান।
টসে জিতে সানাকার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড় করায় কুমিল্লা। জবাবে আল আমিন, সানজামুল ইসলাম, সৌম্য সরকার, আবু হায়দার রনি ও মুজিবের বোলিং তোপে মাত্র ৬৮ রানেই গুটিয়ে যায় রংপুরের ব্যাটিং লাইনআপ। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ১০৫ রানের বড় জয় দিয়ে শুরু করল সানাকার দল।
রংপুরের ব্যাটসম্যানরা রানের চাপে শুরু থেকেই ছিল দিশেহারা। ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে আবু হায়দারকে দু’বার সীমানার বাইরে পাঠান শেহজাদ (১৩)। তবে আফগান এই ওপেনার আরও আগ্রাসী হতে যান স্বদেশী মুজিবের বিপক্ষে। তাতেই ঘটে বিপত্তি। সীমানার কাছে সাব্বিরের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর চলতে থাকে আসা-যাওয়ার খেলা। জহুরুল ইসলাম, ফজলে মাহমুদ ও লুইস গ্রেগরি ফিরে যান পাওয়ার প্লের ভেতরেই। তারপর নবীকে সঙ্গে নিয়ে কিছুদূর চেষ্টা চালিয়ে যান নাঈম। তবে নবীও (১১) করে ফিরে যান। এরপর সঞ্জিত সাহা ছিলেন শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান। যখন তিনিও ফিরে গেলেন, তারপর নাঈমও (১৭) আর এগিয়ে যেতে পারেননি। দল অলআউট হয়ে যায় মাত্র ৬৮ রানে। এই ইনিংসে মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান ছাড়িয়েছেন তিন অঙ্ক। তারমধ্যে নাঈম ছাড়া বাকি দু’জন আফগানি (শেহজাদ-নবী)। কুমিল্লার হয়ে আল আমিন ৩টি উইকেট পান। এছাড়া সৌম্য ও সানজামুল পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন মুজিব ও রনি।
এরআগে টসে জিতে কুমিল্লার শুরুটাও ভালো ছিলনা। নবীর প্রথম বলেই ফেরেন ইয়াসির। ইনিংসের ১৪তম ওভারে রান ছিল ৮৯। উইকেট হারিয়েছিল ৬টি। তবে ক্রিজে ছিলেন দাসুন সানাকা। তার শানিত ব্যাটে ভর করেই কুমিল্লা পৌঁছে যান রান পাহাড়ে। অথচ এক সময় মনে হচ্ছিল এই সংগ্রহ হয়তো বেশিদূর এগুবে না। অলআউটের শঙ্কাও উড়িয়ে দেযার মতো ছিলনা। তবে সানাকার ৯ ছক্কা ও ৩ চারের অতিমানবীয় ইনিংসে মুস্তাফিজ ও জুনায়েদের কিপটে স্পেল হয়ে যায় খরুচে। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১২ রান দেয়া মুস্তাফিজ শেষ ওভারে গুণলেন ২৫ রান! চারটি বড় ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই লঙ্কান। পরের ওভারে জুনায়েদ খরচ করেছেন আরও ২৩ রান। সেখানেও ছয় ছিল তিনটি।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স : ২০ ওভারে ১৭৩/৭ (রাজাপাকসে ১৫, সৌম্য ২৬, মালান ২৫, সাব্বির ১৯, শানাকা ৭৫*; নবী ১/১৪, সঞ্জিত ২/২৬, মুস্তাফিজ ২/৩৭, তাসকিন ০/২৩, গ্রেগরি ২/২৫)। রংপুর রেঞ্জার্স : ১৪ ওভারে ৬৮ (শেহজাদ ১৩, নাইম ১৭, নবি ১১, মুস্তাফিজ ৮*; মুজিব ১/৭, রনি ১/১৯, আল আমিন ১৪/৩, সৌম্য ১২/২, সানজামুল ৪/২)। ফল : কুমিল্লা ১০৫ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা : দাসুন শানাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।