নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মিরপুরে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচে গ্যালারীজুড়ে শুধুই হাহাকার। দর্শকশূণ্য গ্যালরীতে অবশ্য খেলা শুরু হওয়ার পর বেড়েছে কিছু ক্রিকেটপ্রেমীর আনাগোনা। দুই দলে বড় নামের ঘাটতি থাকলেও প্রথমে মোহাম্মদ মিঠুন ও পরে ইমরুল কায়েসের ব্যাটে সেই আক্ষেপ দূর হয়েছে। মিঠুনের ৪৮ বলে ৮৪ রানে ভর করে সিলেট থান্ডার নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬২ রান। জবাবে শুরুতে ছন্নছাড়া চট্টগ্রামের ইনিংস মেরামত করতে এসে ৩৮ বলে ৬১ রানের ক্যামিও দিয়ে দিনের সব আলো কেড়ে নেন ইমরুলের। রান তাড়ায় অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের লড়াকু ইনিংসে ম্লান হয়ে গেছে মিঠুনের দাপট।
হোম অব ক্রিকেটে টসে জিতে প্রথমেই সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠান চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রায়াদ এমরিত। দলের নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেন এই ক্যারিবীয়। সিলেট অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন অবশ্য ব্যাটিং পাওয়ায় অসন্তুষ্ট ছিলেন না। তবে তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন ১৭০ রান। অধিনায়কের প্রত্যাশার একদম কাছাকাছিই পৌঁছে তার দল। পরাজয়টাও হয় মাত্র ১ ওভার হাতে রেখেই।
আভিস্কা ফার্নান্দো ও জুনায়েদ খান উদ্বোধনী জুটিতে নামেন লক্ষ্য তাড়ায়। জুনায়েদ মাত্র ৪ রান করেই ফিরে যান। ঠিক তার পরের বলেই নাসির হোসেনকে ফিরিয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও চিল নাজমুল ইসলামের। কিন্তু পরে তা আর হয়নি। দলীয় ২০ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম। সোহাগ গাজীর পরের ওভারে ২০ রান তুলে নেন এই লঙ্কান ওপেনার। কিন্তু সান্তোকির ¯েøায়ার বুঝতে না পেরে বল তুলে দেন আকাশে। আউট ফার্নান্দো। মোসাদ্দেক এসে টিকতে দেননি বার্লকেও। কিন্তু তখনও ইমরুল যে ছিলেন। ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান ওয়ালটনেকে নিয়ে ৮৬ রানের জুটি। মাত্র ৩৮ বলে ৬১ রান করে যখন ফিরে গেছেন ততক্ষণে দলকে জয়ের কাছাকাছিই পৌঁছে দিয়েছিলেন। তার এই ইনিংসে ছিল ৫টি ছয় ও দুটি চারের মার। ইমরুল আউট হলেও তার সঙ্গী ওয়ালটন ৪৯ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন। নামজুল ২টি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া সান্তোকি, ইবাদত ও মোসাদ্দেক নিয়েছেন একটি করে উইকেট। বিপিএলের প্রথম ম্যাচই জয় দিয়ে রাঙিয়ে রাখল চট্টগ্রাম।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু ভালো হযনি সিলেটেরও। রনি তালুকদার দ্রæত ফিরে যান। তবে কিছুক্ষণ ক্রিজে ধামাকা দেখিয়েছেন জনসন চার্লস। ৩৫ রানে তিনি ফিরে গেলে জীবন মেন্ডিসও তার রাস্তায়ই হাঁটেন। দুই স্বদেশী ব্যাটসম্যান তখন ক্রিজে। মিঠুন ও মোসাদ্দেক। এই দুই ব্যাটসম্যান ইনিংসের প্রায় শেষ অবধি খেলে যান। মিঠুন ৫টি ছক্কা ও ৪টি চারের সাহায্যে করেন ৪৮ বলে ৮৪ রান। মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে ধীরগতির ৩৫ বলে ২৯ রান। দলপতির দুর্বল স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করায় স্কোর ১৬২ এর বেশি যেতে পারেনি। রুবেল হোসেন ২টি উইকেট পেয়েছেন। এছাড়া নাসুম ও ইমরিতের ঝুলিতে ছিল একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
সিলেট থান্ডার : ২০ ওভারে ১৬২/৪ (রনি ৫, চার্লস ৩৫, মিঠুন ৮৪*, মেন্ডিস ৪, মোসাদ্দেক ২৯, নাজমুল ১; নাসুম ১/৩৪, রুবেল ২/২৭, ইমরিত ১/৩৮, মুক্তার ০/২২, নাসির ০/২২, বার্ল ০/১৫)।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১৯ ওভারে ১৬৩/৫ (ফার্নান্দো ৩৩, জুনায়েদ ৪, নাসির ০, কায়েস ৬১, বার্ল ৩, ওয়ালটন ৪৯*, নুরুল ৫*; গাজী ০/৩৬, সান্তোকি ১/৩৪, নাজমুল ২/২৩, ইবাদত ১/৩৩, মোসাদ্দেক ১/৯, নাভিন ০/২৭)।
ফল : চট্টগ্রাম ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : ইমরুল কায়েস (চট্টগ্রাম)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।