নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
৭টি দলে প্রায় দুইশ’ বিশ্ব মাতানো ক্রিকেটার। ২২ গজি লড়াইয়ে তাদের ৩৫ দিনের দাপট। রোমাঞ্চ ছড়ানো ৪৬টি বারুদে ম্যাচ। লক্ষ্য একটি- শিরোপা। লড়াইয়ের উত্তাপ বোঝাতে এই পরিসংখ্যানগুলোই যথেষ্ট। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ‘বিশেষ’ তকমা। আর মাত্র কয়েকটি ঘন্টার অপেক্ষা। তারপরেই মাঠে গড়াচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু’ বিপিএলের জমজমাট মাঠের লড়াই। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এবারের ঘরোয়া ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগের সবচাইতে বড় আসর।
দু’দিন আগে মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জমকালো এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হয়েছিল যার গোড়াপত্তন। সেই হোম অব ক্রিকেটে এবার তা মাঠের জৌলুস ছড়ানোর অপেক্ষা। ‘বিশেষ’ এই বিপিএলের উদ্বোধনী দিনের প্রথম ম্যাচে আজ দুপুর দেড়টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে সিলেট থান্ডার। আর একই ভেন্যুতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের প্রতিপক্ষ রংপুর রেঞ্জার্স।
চট্টগ্রামের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচকে সামনে রেখে অবশ্য হুঙ্কারই দিয়ে রেখেছেন সিলেট থান্ডার দলপতি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। যা হোক, আর তা হোক জয় তার চাই ই চাই। আর এক্ষেত্রে তাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে টিম কম্বিনেশন। কেননা সিলেটে দলে তার সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন; মোহাম্মদ মিঠুন, নাইম হাসান, নাজমুল ইসলাম অপু, নাইম হাসানদের। আস্থা রাখছেন অভিজ্ঞ বিদেশিদের ওপরেও, ‘স্থানীয় খেলোয়াড়ের দিক থেকে ম্যাচ বদলে দেওয়ার সামর্থ্য অবশ্যই আছে। আমরা ৩-৪ জন আছি যারা জাতীয় দলে বর্তমানে খেলছি। জাতীয় দলে ঢুকবে এমনও কয়েকজন আছে। এছাড়াও যারা আছে ওরাও একসময় খেলেছেন। বিদেশিরাও নিজ দেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড়। তাই আমি মনে করি টুর্নামেন্টে ফাইট করার মত ভারসাম্যপ‚র্ণ দল আমরা।’
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স হয়ত মোসাদ্দেকের মতো হুঙ্কার দেয়নি। কিন্তু এটাও তো ঠিক যে মাঠের লড়াইয়ে তারা একবিন্দুও ছাড় দেবে না। তবে দলটিকে কিছুটা অভাগা বলতেই হচ্ছে। কেননা ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে পাওয়া হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট এখনো সারিয়ে উঠতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। থাকছেন না, বিধ্বংসী ক্রিস গেইলও। তাকে পেতে পেতে জানুয়ারি মাস। চট্টগ্রাম দলপতি ইমরুল কায়েসও তেমনই আভাস দিলেন, ‘রিয়াদ ভাইয়ের (মাহমুদউল্লাহ) না থাকায় টিম সাজানো কঠিন। উনাকে দুটো ম্যাচ মিস করবো। বিদেশি প্লেয়ারও খেলতে পারে আবার লোকাল প্লেয়ারও খেলতে পারে ওই জায়গাটায়। এই জায়গাটা রিকভারি করাটা কঠিন। যারাই এই জায়গায় সুযোগ পাবে তারা এর সঠিক ব্যবহার করার চেষ্টা করবে।’
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচের লড়াই নিয়ে অবশ্য দুই দলের প্রতিনিধিদের থেকে তেমন কোন তর্জন গর্জন শোনা যায়নি। গতকাল কুমিল্লার প্রতিনিধি হয়ে আসা পেস বোলার আল আমিন হোসেন শুধু বললেন, শুরুটা তারা ভাল করতে চান। আর রংপুর চ্যালেঞ্জার্স দলপতি দলপতি মোহাম্মদ নবী বললেন, মেধাবি বাংলাদেশি ও বিদেশি প্লেয়ারদের সমন্বয়ে রংপুর দলটি বেশ ভাল। এখান থেকেই তারা উইনিং কম্বিনেশন খুঁজে বের করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।