নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে দুটি দলের মালিকানাস্বত্ত্ব ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাঁধে। সেখানে বোর্ডের নির্দেশিকা পূরণ করতে না পারা দলও তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা দল দুটোই। বিসিবি প্রতি দলে একজন ১৪০ কি.মি. বা তার বেশি গতিসম্পন্ন বোলার ও একজন লেগস্পিনার রাখার নীতি প্রণয়ন করেছিল। আবার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছিল তাদের বল করতে হবে নির্ধারিত কোটার ৪ ওভারই।
এবার বিসিবির কাঠগড়ায় পড়ল খোদ বিসিবিই! এরআগে ঘরোয়া লিগেও কঠোরতা অবলম্বন করেছিল দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই সংস্থাটি। এখন নিয়ম মানার বেলায় হুঁশ নেই তাদের। বিসিবির দুই শীর্ষস্থানীয় দুই কর্তা মিনহাজুল আবেদীন ও আকরাম খানের কথায়ও ফুটে উঠল সেই সুর। মিনহাজ যেখানে খুঁজছেন অজুহাত, সেখানে আকরাম ঘুরিয়ে ফেলছেন নিয়মই!
রংপুর রাইডার্স দলে নেই গতি সম্পন্ন ফাস্ট বোলার। একজন লেগস্পিনার ছিল, তাও অনুর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য বাছাই করা হয়েছে। অন্যদিকে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স এখন পর্যন্ত পেসার খথুঁজে বেড়াচ্ছে। কিন্তু লেগস্পিনার খোঁজায় মনযোগ নেই তাদের।
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচ্ক মিনহাজুল আবেদীনকে কুমিল্লার টেকনিকাল অ্যাডভাইজার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আফগানিস্তানের ফিঙ্গার স্পিনার মুজিব উর রহমানকে দিয়েই লেগ স্পিনারের কোটা পূরণ দেখাচ্ছে দলটি। কিন্তু মুজিবের বেশকিছু ডেলিভারীর মধ্যে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য একবার সেই লেগ স্পিন দেখা যায়। মিনহাজ জানিয়েছেন, ‘আমরা মুজিবকে দলে নিয়েছি। সে একজন বিশ্বনন্দিত স্পিনার। তাতে আমাদের বাধ্যবাধকতা পূর্ন হয়েছে। সে একই সাথে অফস্পিন ও লেগস্পিন করতে পারে। সেখানে কোন সমস্যা দেখছি না।’
কুমিল্লার গতিতারকা ওশানে থমাস এখন পর্যন্ত পাননি অনাপত্তিপত্র (এনওসি)। কিন্তু তারা এমন অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই চুক্তি করে রেখেছে। এ বিষয়ে মিনহাজ বলেন, ‘কুশল পেরেরা এখনও এনওসি পাননি। দাসুন শানাকা এবং রাজাপাকসে পেয়েছেন ছাড়পত্র। কাইল জারভিসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। বাংলাদেশে তার ভালো অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু তিনিও এখন পর্যন্ত পাননি এনওসি। আমরা ওশানে থমাসের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমরা অনেক বিদেশি খেলায়াড়ের সঙ্গে আলাপ করেছি। তাছাড়া আমাদের মুজিব ও ডেভিড মালান আছে, তারা প্রথম ম্যাচে থাকবে।’
রংপুর দলে ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেসন্স চেয়ারম্যান আকরাম খান। দলে নেয়া ১৭ বছর বয়সী রিশাদ হোসেন প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে সম্প্রতি ভালো পারফর্ম করেছেন। কিন্তু তাকে অনুধ্ব-১৯ দলে নেয়ায় তিনি জানুয়ারির শুরু থেকেই থাকতে পারবেন না। অবশ্য লেগস্পিনার খেলানোকে বাধ্যতামূলক মনে করছেন না আকরাম, ‘লেগস্পিনার খেলানোটা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু আমাদের প্রকৃতপক্ষেই মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের মতো ভালো বোলার আছে। মোহাম্মদ নবী ও আরাফাত সানি আছে এই দলে। তাছাড়া লুইস গ্রেগরি আছেন, যিনি পেস অলরাউন্ডার।’
অক্টোবর মাসের ১১ তারিখে বিসিবি ডিরেক্টর মাহবুবুল আনাম বলেছিলেন, ‘এবারের বিপিএলে বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের টি-টোয়েন্টিতে মানোন্নয়ন করাই বিসিবির লক্ষ্য। দেশীয় ব্যাটসম্যান ও বোলারদের পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়া নিশ্চিত করাই লক্ষ্য।’
বেশি দূরের কথা নয়, চলতি বছরের অক্টোবর মাসের ১৭ তারিখে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দুই কোচকে (রংপুরের মাসুদ পারভেজ রাজন ও ঢাকা বিভাগের জাহাঙ্গীর আলম) মূল একাদশে লেগস্পিনার অর্ন্তভুক্ত না করায় বহিস্কার করেছিল বিসিবি।
এবারের বিপিএলে শুধুমাত্র কুমিল্লা ও রংপুরই নয়, সম্পূর্ণ নীতিমালা মানেনি সিলেট থান্ডার ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সিলেট থান্ডর দলে শেলপড্রন কটরেলকে অর্ন্তভুক্ত করেছে প্লেয়ার ড্রাফটের পর। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজে তার নাম থাকায় তিনি নিশ্চত নন। এজন্য সিলেট পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ সামিকে দলে টেনেছে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স লেগস্পিনার জোবায়ের হোসেনের সঙ্গেও চুক্তি করেনি আবার ১৪০ কি.মি. এর বেশি গতির বেকান বোলারও নেয়নি।
ঢাকা প্লাটুন, খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়েলস-এই তিনটি দলই সব নীতিমালা অনুসরণ করছে। আগামীকাল প্রথম দিনে চট্টগ্রাম মুখোমুখি হবে সিলেটের। আরেক ম্যাচে কুমিল্লা খেলবে রংপুরের বিপক্ষে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।