নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর। ক্যালেন্ডার বলছে, বাকি নেই আর এক বছরও। তার আগে পাইপলাইনের খেলোয়াড় দিয়ে ঘাটতির জায়গা প‚রণের সবচেয়ে বড় সুযোগ এবারের বিপিএল। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্টও তাই তাকিয়ে ঘরোয়া ফ্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই আসরটির দিকে। আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও ক্রিকেটীয় লড়াই মাঠে গড়াবে আরো দু’দিন পর থেকে। প্রায় ৩৫ দিনব্যাপী এই ক্রিকেটযজ্ঞের দিকেই চাতক পাখির মতো তাকিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। জানালেন দলের ঘাটতির জায়গা প‚রণ করতে পারেন এমন ক্রিকেটার-ই খুঁজবেন তারা।
টি-টোয়েন্টিতে লোয়ার অর্ডারে কার্যকর ঝড় তুলতে পারেন, এমন একজন ব্যাটসম্যান দরকার বাংলাদেশের। আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের পাশাপাশি দরকার বিকল্প আরও রিষ্ট স্পিনার। যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় খেলা, পেসারদের ভ‚মিকা সেখানে প্রবল। পেস শক্তি বাড়াতেও নজর রাখবে টিম ম্যানেজমেন্ট।
জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এবার বিশেষ বিপিএলে নেই আগের কোন ফ্রাঞ্চাইজি। নতুন আদলের এই বিপিএলে মিনহাজুল নিজে যুক্ত আছেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সে। আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন যুক্ত আছেন রংপুর রেঞ্জার্সে। নিজেদের দল তো বটেই। মিনহাজুল জানালেন তাদের চোখ থাকবে গোটা বিপিএলের পারফর্মারদের উপর, ‘এই বিপিএলটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপ‚র্ণ। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। অনেকগুলো টি-টোয়েন্টি ম্যাচও আছে। ওইখানে পারফরম্যান্সটা গুরুত্বপ‚র্ণ। কিছু কিছু জায়গায় আমাদের ঘাটতি আছে এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। টিম ম্যানেজমেন্ট আমরা সবাই চাচ্ছি এইসব জায়গায় কিছু খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স। এই বিপিএলটা ওই জায়গায় দেখবো। কিছু খেলোয়াড় যদি এখান থেকে আমরা পেয়ে যাই আমাদের জন্য বাড়তি পাওনা।’
শুধু নির্বাচকরাই নন, ছুটিতে থাকলেও বিপিএলে চোখ রাখবেন কোচিং স্টাফরাও। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ছুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় আছেন, পেস বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্টও তা-ই। সেখান থেকেই বিপিএলের ম্যাচে নজর থাকবে তার। তবে বিপিএলের শেষ দিকে বাংলাদেশে এসে সরাসরিও পারফর্মার খোঁজে পেতে চেষ্টা চালাবেন তারা, ‘ক্রিসমাসের ছুটি আছে। এরপর ম্যানেজমেন্টের সবাই এসে এখানে ম্যাচ দেখবে। ঐ সময়ে একটু গ্যাপ পড়তে পারে। তারপরে আমাদের কোচের সঙ্গে যে কথা হয়েছে ওরা পুরা ম্যাচ কাভার করবে।’
টি-টোয়েন্টিতে ছয় বা সাত নম্বরে নেমে ঝড় তুলতে পারেন এমন ব্যাটসম্যানের অভাব আছে বাংলাদেশ দলে। এই জায়গায় সাব্বির রহমানকে বিবেচনা করা হচ্ছিল এতদিন, স¤প্রতি তিনি ছন্দ হারিয়ে কক্ষপথ থেকে দ‚রে সরে গেছেন অনেকটা। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এই জায়গায় মেটাতে পারছেন না দলের চাহিদা। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইছে এই জায়গায় এমন একজনকে যিনি নেমেই মারতে পারেন। অন্তত ১০ বলে ২০-২৫ করার মতো একজন মারকুটে ব্যাটসম্যানের খুঁজে আছে বাংলাদেশ।
লেগ স্পিনার হিসেবে হুট করে আবির্ভাবে বেশ আলোড়ন তুলেছিলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ভারতের বিপক্ষে সিরিজে খুব একটা খারাপ করেননি তিনি। তবে তার বিকল্প লেগ স্পিনারও বের করে আনতে চায় বাংলাদেশ দল, বাড়াতে চায় অপশন। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন বিবেচনায় পেসারদের উপর বাড়তি নজর তো থাকছেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।