Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এক ধর্ষককে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ

পাবনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৩:৪৫ পিএম

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ৯ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ধর্ষণ করার দায়ে অভিযুক্ত ধর্ষক আনিসুর রহমানকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হলো ঐ উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মনসুর আলীর পুত্র । স্কুল ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে শুক্রবার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করে।

স্কুল ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার স্কুল ছাত্রী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য উপজেলার তার স্কুলে যায়। ঘটনার দিন আনিসুর স্কুলের নিকটবর্তী তার এক আত্মীয় আব্দুল আলিমের বাড়িতে আগে থেকেই অবস্থান করছিল। ঐ স্কুল ছাত্রী পরীক্ষা শেষে বাইরে এলে আনিসুর তার আত্মীয়কে দিয়ে ঐ ছাত্রীকে কৌশলে ডেকে নেয়। এক পর্যায়ে আনিসুর ঐ স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের প্রেমের প্রলোভনে ধর্ষণ করে। এ সময় ঐ স্কুলছাত্রী চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন গিয়ে দুই জনকে আটক করে। পরে তারা দিলপাশার ইউপি চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষকে খবর দেন।

চেয়ারম্যান এসে মেয়েটিকে তার নিজ জিম্মায় নিয়ে যায় এবং ঐ দিন বিকেলে সালিশের সময় দেয়। পরে ঐ দিন বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন আলোচনা চলে। ছেলের পরিবার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করলেও মেয়ের পরিবার বিয়ে দিতে চায় ফলে বৈঠক অমিমাংসিত থেকে যায়। পরে আনিসকে চেয়ারম্যান অশোক কুমার ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রেখে শুক্রবার থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে আনিসকে থানায় নিয়ে আসে।

বৈঠক অমিমাংসিত হওয়ায় মেয়ের পরিবার শুক্রবার মেয়েকে নিয়ে থানায় অভিযোগ দিতে আসে। তাদের থানায় আসার খবর পেয়ে আনিসের আত্মীয় পার ভাঙ্গুড়া ইউপি সদস্য হারুন - অর- রশিদ থানায় অবস্থায় নেয় যার কারনে সকাল আটটায় মেয়ের পরিবার থানায় আসলেও তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে পারেননি। এক পর্যায়ে ঐ স্কুল ছাত্রীর পরিবার স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছে অভিযোগ করেন।

বিষয়টি চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন জানতে পেরে ভাঙ্গুড়া থানায় এসে নির্যাতিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে থানা পুলিশ একটি অভিযোগ নেয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলা রুজু করে পুলিশ। পরে পুলিশের হেফাজতে থাকা আনিসকে আটক দেখায় পুলিশ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনিসের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম ভাইয়ের পক্ষে বলেন, আমার ভাই নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে তিনি ঐ মেয়ের সাথে আনিসের প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন।

‘পার ভাঙ্গুড়া ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, এসব মিথ্যা কথা। আনিস আমার আত্মীয় হওয়ায় আমি থানায় গিয়েছিলাম।’
চাটমোহর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার সজীব শাহরিন আজ শনিবার ইনকিলাবের এই স্টাফ রিপোর্টারকে জানান, আটকৃত আনিসকে আজ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আটক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ