Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চমকেই ঘুরে দাঁড়াতে চায় সিলেট আওয়ামী লীগ

ফয়সাল আমীন | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৬:২৬ পিএম

চমকেই ঘুরে দাঁড়াতে চায় সিলেট আওয়ামী লীগ । সু সংগঠিত হতে চান নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার অনেক জল্পনা কল্পনার পর চমক দিয়েই সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নতুন নেতৃত্বে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নেতাকর্মীরা। তারা মনে করেন এ নেতৃত্ব সিলেট আওয়ামীলীগকে সু সংগঠিত করবে। তবে এবার গ্রুপিং রাজনীতির কারনে বলির পাঠা হয়েছেন অনেক বাঘা বাঘা নেতা। দলে কর্মী বাড়ানোর চেয়ে ছোট ভাই তৈরিতে ব্যাস্ত এসব নেতারা এবার পাননি কাঙ্কিত পদ।
সম্মেলন ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে গেল কিছুদিন ধরে ছিল টান টান উত্তেজনা। কে হচ্ছেন সভাপতি, কে পাবেন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব-এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল নানামুখী কানাঘুষা। সেই কানাঘুষা থেমেছে, এসেছে চমক! বিশেষ করে মহানগরে এমন চমক থাকবে এর আগে কেউ বুঝতে ও পারেননি। জেলার সহ সভাপতি মুক্তিযুদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ মহানগরে সভাপতি হবেন এমনটি ছিল কল্পনাতীত। তিনি নিজে ও জেলায় সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। নগরে তাঁর আপন ছোট ভাই আসাদ উদ্দিন ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। সুর উঠেছিল সেই আসাদ হবেন মহানগরের সভাপতি। অথচ সুর উল্টে ছোট ভাইকে ডিঙ্গিয়ে বড় ভাই হলেন নগরের সভাপতি। এ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ইনকিলাবকে বলেন, সব দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত। তিনি চেয়েছেন তাই দায়িত্ব নিয়েছি। দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করতে চাই। নগরে সম্পাদক হলেন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ অধ্যাপক জাকির হোসেন। গেল সিটি নির্বাচনে তিনি মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। আর মাসুক সিলেট ৫ আসনে চেয়েছিলেন এমপি প্রার্থী হতে।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগে এডভোকেট লুৎফুর রহমান সভাপতি, এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। লুৎফুর রহমান আগে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন। ২০১৫ সালে তৎকালীন সভাপতি আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান মারা যাওয়ার পর লুৎফুর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পান। এ দায়িত্বে থেকে তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের অনেকের ধারণা ছিল, বয়সের বিষয়টি বিবেচনা করে লুৎফুরকে এবার সভাপতি পদে নাও রাখা হতে পারে। অথচ সব বাঁধা ডিঙ্গিয়ে তিনি এবার ভারমুক্ত হলেন। এডভোকেট লুৎফুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, আমৃত্যু দলের জন্য কাজ করতে চাই। তাই হয়তো নেত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ জন্য তিনি নেতাকর্মীসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান। জেলার সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান এর আগে যুগ্ন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা নাসির এবার জেলার গুরু দায়িত্ব পেলেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ