নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আপাতত নেই আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা, শেষ ঘরোয়া ক্রিকেটও। দুঃস্বপ্নের ভারত সফর শেষে এরই মধ্যে দেশে ফিরেছেন ক্রিকেটাররা। আছেন ছুটির আমেজে। সামনেই উৎসবের ক্রিকেট- বিপিএল। তবে এবারের ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ‘বিশেষ’ এই আসরকে সামনে এখনো কোনো দল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেনি প্রস্তুতি। তবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের একটা আমেজ ঠিকই পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল যেমন মাঠে এসেছিলেন ঢাকা প্লাটুনসের দুই তারকা মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তামিম ইকবাল। ছিলেন দলের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
বিশ্রাম শেষে মাঠে ফিরে তামিম নেটে নিজেকে ঝালিয়ে নিয়েছেন। মাশরাফি অনুশীলন করেননি। মাঠে এসেছিলেন শুধু তামিম-সালাউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে। বিশ্বকাপ থেকেই মাশরাফি বয়ে বেড়াচ্ছেন হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট। চোট তাঁকে ভোগাচ্ছে এখনো। চোট থেকে পুরোপুরি মুক্ত না হলেও ঢাকার কোচ সালাউদ্দিন আশাবাদী, বিপিএলের শুরু থেকেই পাওয়া যাবে মাশরাফিকে, ‘যেকোনো খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে আমরা আশা করি প্রথম থেকে সে খেলবে। আমার মনে হয় সে পারবে। চোটটা মনে হয় গুরুতর কিছু না। ও বোলিং শুরু করলেই বোঝা যাবে সে কী অবস্থায় আছে।’ মাশরাফিকে নিয়ে একটু সংশয় থাকলেও সালাউদ্দিন তামিমকে নিয়ে সংশয়হীন, ‘অনেক দিন পর সে এসেছে, আগে ব্যাটে-বলে ঠিক হোক, তারপর কী করতে হবে বোঝা যাবে। দেখে মনে হচ্ছে তামিম খুব ভালো অবস্থায় আছে। দুই একদিন গেলে ভালো ছন্দে চলে আসবে সে।’
এবার বিপিএলে এক সঙ্গে মাশরাফি-তামিমের মতো দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে পেয়েছে ঢাকা। দুজনের অভিজ্ঞতা আছে বিপিএল শিরোপা জেতার। আবার কোচ সালাউদ্দিনও বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের একজন সফল কোচ, বিপিএল-শিরোপা জেতার অভিজ্ঞতা আছে তারও। ২০২০ বিপিএলে নিঃসন্দেহে ঢাকাকে ফেবারিটের তকমা দেওয়া যায়।
তবে অভিজ্ঞ দুই খেলোয়াড় থাকাটা ইতিবাচক হলেও এটিই শিরোপা জেতার প্রধান শর্ত নয়, সে কথাও করিয়ে দিচ্ছেন সালাউদ্দিন, ‘দলে প্রতিটি ক্রিকেটারের আলাদা ভূমিকা থাকে। দলের ১১ জন এবং একাদশের বাইরে যারা থাকে তাদেরও ভূমিকা থাকে। যারা খেলছে না তারা যদি ঠিকমতো সমর্থন না করে আপনি চ্যাম্পিয়ন হতে পারবেন না। এখানে আলাদা কোনো খেলোয়াড় গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। যারা ম্যানেজমেন্টে থাকে তাদেরও যদি সহায়তা না থাকে তাহলে একটা দলের ভালো করার সুযোগ খুবই কম থাকে। এখানে সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকতে হবে, তা না হলে ভালো করার সম্ভাবনা খুব কম।’
অন্য কোচের তুলনায় সালাউদ্দিনের চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি। তিনিই একমাত্র স্থানীয় প্রধান কোচ এবারের বিপিএলে। দেশের দুজন বড় তারকাকে এক সঙ্গে পেয়েছেন, কুমিল্লার হয়ে জিতেছেন ২০১৫ ও ২০১৮ বিপিএল। একাধিকবার শিরোপা জিতেছেন বলেই তার কাছে প্রত্যাশাও বেশি। কোচ হিসেবে চ্যালেঞ্জটা নিলেও শিরোপা জয়ের দৌড়ে এগিয়ে আছেন, সেটি বলতে চান না সালাউদ্দিন, ‘টুর্নামেন্টে সাতটি দল খেলবে। এখানে কেউ যদি চিন্তা করে যে আমি চ্যাম্পিয়ন হব, তাহলে বলব এটা বোকামি। সাতটা দলের সবাই এক লক্ষ্যে মাঠে নামবে। কেউই শুধু অংশ নিতে যাচ্ছে না। স্থানীয় কোচ হিসেবে আমার দায়িত্ব একটু বেড়ে গেছে। অন্য সব দলে বিদেশি কোচ রয়েছে। এখানে যেহেতু আমি একাই স্থানীয় কোচ, তাই আমার জন্য কিছুটা বাড়তি দায়িত্ব। আমি ভালো করলে ভবিষ্যতে আমাদের অন্য স্থানীয় কোচদের সুযোগ আসবে। এ কারণে আমার ভালো করা বেশি জরুরি। এ চ্যালেঞ্জ প্রতিটা টুর্নামেন্টেই থাকে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।