Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শঙ্কামুক্ত মাশরাফি, বিশ্রামে মাহমুদউল্লাহ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শঙ্কামুক্ত জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। অন্যদিকে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে চোটের পর এক সপ্তাহের বিশ্রামে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

বাংলাদেশ দল যখন ইন্দোর টেস্টে ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে ধুঁকছেন ঠিক তখনই ক্রিকেটে ফেরার লড়াইয়ে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। হোম অব ক্রিকেট ক্রিকেট মিরপুরে একাডেমি মাঠে ব্যাটিং অনুশীলনের সময় কুঁচকিতে চোট পান দেশসেরা এই পেসার।

চোটের পর প্রাথমিক চিকিৎসার অংশ হিসেবে ফিজিওকে দেখান মাশরাফি। কিন্তু কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন তিনি হননি। পুনবার্সন, জিম সেশনের মধ্য দিয়েই নিজেকে সারিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন। এবং এভাবেই তার পুনর্বাসন চলছিল। কিন্তু সপ্তাহ না ঘুরতেই আরেকটি চোট হানা দেয় তার শরীরে। পরশু থেকে শুরু হয়েছে তার কোমরে ব্যথা। বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী গতকাল মাশরাফির চোট নিয়ে জানিয়েছেন, ‘মাশরাফি মোটামুটি চেষ্টা করছে নিজের রিহ্যাব প্রোগ্রামটা চালিয়ে নেয়ার জন্য। আজকেও (গতকাল) সে ফিজিও থেরাপি এবং জিম সেশন করেছে। তবে আমরা যেভাবে চাচ্ছি তাকে সময় দিতে পুনর্বাসনের জন্য সেভাবে সে সময় দিতে পারছে না। ওর ব্যথা কমে আসছে আগে থেকে কিন্তু পুরোপুরি সেরে গেছে এটা বলা যাবে না। ও যদি ব্যস্ততার বাইরে আরেকটু সময় দিতে পারত তাহলে আরেকটু তারাতারি সেরে উঠতো।’

অন্যদিকে ইডেন গার্ডেনে ভারতের বিপক্ষে দিবা রাত্রির টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটে পড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চোট প্রকট ছিল বলে ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতোর কাঁধে ভর দিয়ে ওই সময় ৩৯ রানে ক্রিজে থাকা এই টাইগার মিডল অর্ডারকে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। পরে আর মাঠে নামতে পারেননি তিনি। একই দিন রাতেই কলকাতা থেকে দেশে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ। ফিরে তার পরদিন ক্ষতে স্ক্যান করিয়েছেন। কিন্তু সেই স্ক্যান রিপোর্ট এখনো হাতে পায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল বিভাগ। তবে দেশে ফেরার পর তাকে দেখে আগামি এক সপ্তাহ তাকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন দেবাশীষ, ‘মাহমুদউল্লাহর চোটটা হচ্ছে গ্রেড ওয়ান হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি। সে গতকাল স্ক্যান করিয়েছে আমরা এখনও রিপোর্ট হাতে পাইনি। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে খুব অল্প মাত্রার হ্যামস্ট্রিং হলেও আমরা ৭দিনের বিশ্রাম বেঁধে দেই। রেস্ট নেয়ার জন্য রিহ্যাব করার জন্য। ফিট না হয়ে খেলায় ফিরলে আবার ইনজুরিতে পরার সম্ভাবনা থাকে। একই ইনজুরি ওই জায়গাতে হলে সারতে সময় নেয়। আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে ওর দ্বিতীয় ইনজুরিটা আটকানো। কারণ একই জায়গায় দ্বিতীয়বার চোট পেলে ফিরতে দিগুন সময় লাগতে পারে। এতে এক মাসের মতো সময় লেগে যায়। আর তৃতীয় বার লাগলে খেলোয়াড়ের ওই মৌসুম মিস করার একটা সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে আমাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ হচ্ছে ইনজুরিটা যেন দ্বিতীয়বার না হয় সেটার ব্যবস্থা করা।’

১১ ডিসেম্বর থেকে মিরপুরে শের ই বাংলায় গড়াবে বিপিএল সপ্তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ। এ আসরে মাশরাফি যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনসের হয়ে খেলবেন। অন্যদিকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সেরে হয়ে খেলবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০১৯ সূচি প্রকাশ

গতবারের মতো এবারও ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট এ তিন ভেন্যুকে রেখে চূড়ান্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০১৯-এর সূচি প্রকাশ করেছে বিসিবি। ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ এ আসরটি শুরু হবে ১১ ডিসেম্বর। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে সিলেট থান্ডার্স। ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে ১৭ জানুয়ারি। বিশেষ বিপিএলের ৭টি দলের প্রত্যেকেই গ্রুপ পর্বে ১২টি করে ম্যাচ খেলবে, যার ৬টি দিনে, বাকি ৬টি রাতে। প্লে অফের ম্যাচের জন্য রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে।

ঢাকায় প্রথম পর্বে থাকছে আটটি ম্যাচ। চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে চট্টগ্রাম পর্বের লড়াই, চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বন্দর নগরীতে ১২টি ম্যাচ হওয়ার পর ফের বিপিএল ফিরবে ঢাকায়। ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এ পর্বে। এরপর ২ জানুয়ারি থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সিলেট বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ৬টি ম্যাচ।
এরপর আবার বিপিএল ফিরবে ঢাকায়। ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১৭ জানুয়ারি ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে এ আসর। এলিমিনেটর ও প্রথম কোয়ালিফায়ার হবে ১৩ জানুয়ারি, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ১৫ জানুয়ারি। ফাইনাল হবে ১৭ জানুয়ারি। কোয়ালিফায়ার, এলিমিনেটর ও ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে একদিন করে রিজার্ভ ডে। সাধারণ দিনে প্রথম ম্যাচ শুরু হবে দুপুর সাড়ে ১২টায়, শেষ হবে সাড়ে ৩টায়। দ্বিতীয় ম্যাচের সময় ৫টা ২০ মিনিট থেকে ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। তবে শুক্রবার ম্যাচগুলি শুরু হবে যথাক্রমে দুপুর ২টা ও সন্ধ্যা ৭টা থেকে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাশরাফি

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ