২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
রূপ নিয়ে সতর্ক সবাই । সে নারী হোক কিংবা পুরুষ। কিন্তু, বয়সের সঙ্গে সেই রূপেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় বলিরেখা। এতদিন পর্যন্ত সকলেই ভাবতেন কীভাবে কমানো যায় এই সমস্যা। বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি এতটাই হয়েছে যে, বয়সের ছাপ চেহারায় আর একেবারেই পড়ে না। আর তারই এক অন্যতম উপায় বোটক্স।
কী এই বোটক্স ?
সাধারন কথায় এটি একটি ইনজেকশন। সাধারণত মুখের বলিরেখা কমানোর জন্য ছোট সূঁচের মাধ্যমে এটি দেওয়া হয়ে থাকে। মুখের পেশিতে এই ইনজেকশন দিয়ে পেশিকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হয়। ফলে মুখের ভাঁজ অনেক কমে যায়। ছ’মাস বোটক্সের প্রভাব থাকে। তাই প্রতি ছয় মাস অন্তর এই বোটক্স নিতে হয়।
শরীরের কোন অংশে এটি প্রয়োাগ করা যেতে পারে?
সাধারণত ফেসে অর্থাৎ মুখেই এটি দেয়া হয়। পেশির সঞ্চালনের কারণে যে অংশে বলিরেখা পড়ে সেখানেই এটি প্রযয়োগ করা হয়। চিকিৎসকেরাই পরীক্ষা করে দেখেন যে, ঠিক কোন অংশে বোটক্সের প্রযয়োজন। হাতে বা পায়েও বোটক্স দেয়া যায়। এছাড়াও অনেক সময় বগলের নিচে ঘামের জন্যও বোটক্স দেওয়া যেতে পারে
বোটক্স এর মূল উপকারীতা কি?
বোটক্স মূলত এন্টি এজিং এর চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একবার বোটক্স নিলে ত্বক ১০ বছর কম বয়সীদরে মতো দেখায়।
এই চিকিৎসায় কোন ঝুঁকি রয়েছে কি?
না, সেই অর্থে ঝুঁকি একেবারেই নেই। এটি খুবই সহজ এবং সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি। বোটক্সের ক্ষেত্রে একবারেই কাজ হয়ে যায়।
বোটক্স করালে এই প্রভাব কী সঙ্গে সঙ্গে চোখে পড়বে?
না বোটক্সের প্রভাব পড়তে অন্তত ছয় থেকে সাতদিন সময় লাগে। সঙ্গে সঙ্গে কোনো প্রভাব সেভাবে চোখে পড়ে না। যিনি বোটক্স নিয়েছেন তিনি তিনদিনেই বুঝতে পারবেন যে বলিরেখা কম হচ্ছে। সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে বলিরেখা একেবারেই কমে যাবে।
পুরুষরাও বোটক্স নিতে পারেন?
অবশ্যই, নারী পুরুষ উভয়েই বোটক্স ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। শুধু পার্থক্য একটাই, তা হলো ইউনিট। বোটক্সের ইনজেকশন ইউনিট মেপে দেয়া হয় তাই, মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের পেশি যেহেতু তুলনামূলক বেশি, তাই মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের কিছু ইউনিট বেশি লাগে।
বোটক্স ট্রিটমেন্টের খরচ কত?
বোটক্সের মোট খরচ সেইভাবে বলা যায় না। কারণ, প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা ইউনিট বোটক্স প্রয়োজন হয়, তাই খরচও আলাদাই হয়। বোটক্সের ইউনিট প্রতি দাম দিতে হয়, তাই কার কত ইউনিট প্রয়োজন তার উপর খরচের পরিমাণ নির্ভর করে।
কনসালট্যান্ট ডার্মাটোলজিস্ট
সহকারি অধ্যাপক, আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
অরোরা স্কিন অ্যান্ড অ্যায়েসথেটিকস
৫৫/২, পশ্চিম পান্থপথ,ঢাকা ১২০৫ ।
সেল- ০১৭৪৩২৬৬৫১৫, ০১৯৯২৬৮০৭১৬।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।