বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় গত দুই দিনে বহিষ্কার হয়েছে ২৪ শিক্ষার্থী। তবে পরীক্ষা কার্যক্রমের মান নিয়ে কোন প্রশ্ন বা ত্রুটি না থাকলেও নিম্নমানের প্রবেশ পত্র নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে।
জানা যায়, গত শনিবার অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ময়মনসিংহ বোর্ডে মোট বহিষ্কার হয়েছে ১৮ জন শিক্ষার্থী। এরপর গতকাল অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পরীক্ষায় বহিষ্কার হয়েছে আরো ৬ জন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা থেকে ৪ জন, জামালপুর জেলায় ১ জন এবং নেত্রকোনার ১ জন।
একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানায়, একজন শিক্ষার্থীর জন্য প্রবেশপত্র অতি প্রয়োজনীয় একটি দলিল। অথচ খুব নিম্নমানের কাগজে এ প্রবেশপত্র প্রিন্ট দিয়ে পরীক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হয়েছে। যা খুব সহজেই ছিড়ে যাচ্ছে। একাধিক মাধ্যম থেকে প্রবেশপত্রের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে স্বীকার করেছেন বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল।
তিনি বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সকল পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তাই অনলাইনে প্রবেশ পত্র দেয়া হয়েছে। শুনেছি প্রবেশপত্রের প্রিন্ট পেপার নিম্নমানের। তবে কোন পরীক্ষার্থী চাইলে অনলাইন থেকে ভালো পেপারে প্রবেশপত্র প্রিন্ট করে নিতে পারবে। তিনি আরো জানান, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের উচিত ছিল ভালো অফসেট পেপারে প্রবেশপত্র প্রিন্ট করা। তাই বিষয়টি মাথায় রেখে পরবর্তীতে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে।
সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠার দুই বছর পর প্রথমবারের মতো পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে। পূর্ব ঘোষিত রুটিন অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ২০২০ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও এই বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুর জেলার নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এ বোর্ডের অধীনে রয়েছে। তবে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড এখনো জনবল সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে প্রস্তাবিত ১৭৫ জনবলের বিপরীতে মাত্র ২৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে কাজ চলছে। এর মধ্যে ১৪ জন প্রেষণে, ১২ জন অস্থায়ী এবং ৩ জন আউটসোর্সিং।
বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল আরো জানান, জনবলের তীব্র সঙ্কটের কারণে রাত-দিন পরিশ্রম করতে হচ্ছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। আশা করছি খুব দ্রুত জনবল সমস্যার সামাধান হয়ে যাবে।
এদিকে জেএসসি পরীক্ষার কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি। এ সময় তিনি নগরীর বিদ্যাময়ী, জিলা স্কুলসহ ৩টি স্কুল পরির্দশন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান ও বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।