পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুবলীগের বহিষ্কৃত দফতর সম্পাদক কাজী আনিছুর রহমানের প্রায় ১শ’ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান সম্পদ জব্দের চিঠি দেন। জব্দকৃত সম্পদের মধ্যে রয়েছে, ঢাকার কলাবাগানে ৫ তলা বাড়ি, ধানমন্ডি ও ওয়ারীতে ২টি ফ্ল্যাট, এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে ৩ দোকান ও ১৩ স্কোয়ার ফুট বাণিজ্যিক স্পেস এবং গুলশান ২ এলাকার একটি মার্কেটে ২টি দোকান। এছাড়া রাজধানীর বাইরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বোয়ালিয়ায় বিলাশবহুল বাড়ি, একটি পেট্টোল পাম্প, ৩০ কোটি টাকার ১৫ বিঘা জমি ও কেরাণীগঞ্জে ৪০ কাঠা জমি পেয়েছে দুদক। এছাড়া ৫০ কোটি টাকার ব্যাংক লেনদেন পেয়েছে সংস্থাটি।
এর আগে কাজী আনিছুর রহমান ও সুমী রহমানের প্রায় ১৬ কোটি টাকার আয়কর নথি জব্দ করে দুদক। ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কাজী আনিছুর রহমান ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ও তার স্ত্রী সুমি রহমানের ১ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের দায়ে মামলা করে দুদক।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আনিছুর রহমান ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নিজ নামে ও বেনামে অর্জিত ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১ কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ৮২১ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার লেভেল ১টি ফ্ল্যাট, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর রসুলপুরে ২৪.৫০ শতাংশ জমি, ঢাকার আর কে মিশন রোডে আমিন ভবনের পঞ্চম তলায় ১৩০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, ঢাকার স্বামীবাগ রোডে ৮২০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, ধানমন্ডিতে ফ্লাট, শুক্রাবাদের শেরেবাংলা নগর ৭৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, ধানমন্ডি ১৫ নম্বর রোডের একটি ফ্ল্যাটসহ সর্বমোট ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অনুরূপভাবে আরফিন এন্টারপ্রাইজ কোম্পানির শেয়ার মূল্য ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্টেশনের শেয়ার মূল্য ৩৬ লাখ টাকা, প্রাইজবন্ড ৩ লাখ টাকা, গাড়ি মূল্য ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ১ কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ৮২১ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। বিএফআইইউ থেকে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র অনুসারে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংকে রাখা ব্যাংক এশিয়া প্রাইম ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ইউসিবিএল ব্যাংক, স্ট্যান্ডার ব্যাংক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, সেভিং অ্যাকাউন্ট এফডিআর এইচটিসিসহ বিভিন্ন ফর্মে ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬৭ হাজার ৪৯৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে ১২ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ৯২০ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। যা আয়কর নথিতে উল্লেখ নেই এবং এসবের সপক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট বৈধ উৎস নেই।
অন্যদিকে, সুমি রহমানের নামে ১ কোটি ২৫ লাখ ৫০০ টাকার স্থাবর ও ৫৬ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকার অস্থাবর টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপর গত ৩০ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু করে সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। তার নেতৃত্বে ৮ সদস্যের টিম অনুসন্ধানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।