পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাধারণ ক্ষমা পেলেও আগামী ২২-২৩ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে দলের বহিষ্কৃত নেতাদের থাকতে হবে দর্শক সারিতে। সম্মেলনে কাউন্সিলর হওয়ার সুযোগও পাচ্ছেন না তারা। গতকাল রোববার দলের সভাপতিম-লীর একজন প্রভাবশালী সদস্য এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, বহিষ্কৃত নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সুযোগ থাকলেও জাতীয় সম্মেলনে তাদের কাউন্সিলর করা হবে না।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলররাই দলের নতুন নেতা নির্বাচন করেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদসহ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে দলের বহিষ্কৃত নেতাদের ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত হয়। আইনবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু বহিষ্কৃত নেতাদের দলে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করলে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের সভাপতি বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উৎসবের আমেজ নিয়ে জাতীয় সম্মেলনে আসেন। সে উৎসবে শামিলের জন্য অর্থাৎ জাতীয় সম্মেলনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে বহিষ্কৃতদের সাধারণ ক্ষমা করা যেতে পারে। তবে দলে ফিরতে হলে তাদের অবশ্যই আবেদন করতে হবে।
দলের একজন নীতি-নির্ধারক নেতা জানিয়েছেন, বহিষ্কৃত নেতারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আবেদন করলে তা বিবেচনা করা হবে। তবে আবেদন বিবেচনা করা হলেও বহিষ্কৃতদের স্বপদে ফেরার কোনো সুযোগ থাকবে না। তাদের নতুন করে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ নিতে হবে। সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও পৌরসভার পর সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং যারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থন করেছিলেন, তাদের অনেককেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে ক্ষমা প্রশ্নে আওয়ামী লীগে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সাধারণ ক্ষমার সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারী নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কেউ কেউ এ ব্যাপারে দলের সভাপতির কাছে তাদের মনোভাবও জানিয়েছেন। অনেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন।
ঈদুল আজহার সময় কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের নির্বাচনী এলাকায় গেলে তৃণমূল নেতাদের অনেকেই বহিষ্কৃতদের সাধারণ ক্ষমার সিদ্ধান্তের ভালো-মন্দ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হত্যাকা-ে সম্পৃক্ত থাকার মতো গুরুতর অভিযোগে বহিষ্কৃতদের ক্ষমা করা উচিত নয় বলে তারা মনে করেন। সঙ্গত কারণেই বহিষ্কৃত নেতাদের সমর্থকরা সাধারণ ক্ষমার সিদ্ধান্তে খুশি। তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেছেন, বহিষ্কৃতদের বেশিরভাগই নির্বাচিত প্রতিনিধি। অনেকেই স্থানীয় পর্যায়ে দলের শীর্ষ নেতা। তাই দলের বিরোধ কমিয়ে আনতে সাধারণ ক্ষমার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।