পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলে ছাত্রীদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে এবং এক ছাত্রীর পায়ের রগ কাটার অভিযোগে গত বুধবার রাতে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রী ইশরাত জাহান এশার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে আবার স্বপদে বহাল করেছে ছাত্রলীগ।
এঘটনায় ছাত্রলীগের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী এশা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল ছাত্রলীগ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তার বহিষ্কার আদেশ তুলে নিয়ে তাকে স্বপদে বহাল করার কথা জানায়।
চার সদস্যের এই তদন্ত কমিটিতে ছিলেন ছাত্রলীগের দুই সহ-সভাপতি নুসরাত জাহান নুপুর ও নিশীতা ইকবাল নন্দী, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর শুক্রবার সকালে ইশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কথা জানানো হয় ছাত্রলীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে। এতে বলা হয়, ‘তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুসারে সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তার (এশা) ওপর আরোপিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে স্বপদে বহাল করা হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা এশার আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে এশার প্রতি অবিচার করা হয়েছে বলে জানান। এবং তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে সমবেদনা জানান।
অন্যদিকে এই ঘটনার পর হলে এশা ফিরছে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রীদের মাঝে। এই কথা শুনে প্রায় শখানেক ছাত্রী হল ছেড়ে বের হয়ে যেতে চায়। এর মধ্যে অনেক ছাত্রী হল থেকে বের হয়ে যায়।
এবিষয়ে বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহŸায়ক ফারুক হাসান বলেন, এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। এবিষয়ে আমাদের কোন অফিসিয়াল কোন বক্তব্য নেই। তবে হলে কোন সাধারণ শিক্ষার্থীকে হয়রানী করা হবে না বলে আমাদের আশ^স্ত করেছেন ভিসি এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপরও কোন শিক্ষার্থীকে হয়রানী করা হলে আমরা আন্দোলন করবো।
বিষয়ে আমরা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও ভিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের এনশিওর করেছেন কাউকে কোন ধরণের হয়রানি করা হবে না। এরপরও যদি কাউকে হয়রানি করা হয়, তাহলে আমরা কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যবস্থা নিবো।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।