Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাবিতে তিন ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কৃত

প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাবি রিপোর্টার ঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৪৬৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের বিবিএ’র শিক্ষার্থী তৌহিদ আল হোসেন তুহিন, সহ-সভাপতি ফিশারীজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী তন্ময় আনন্দ অভি এবং শহীদ হবিবুর রহমান হলের সভাপতি ও একই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মামুন-অর-রশিদ। ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় রাবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনীরকে উপাচার্য দফতরের অপেক্ষমান কক্ষে মারধর করে তারা। এ ঘটনায় তুহিনকে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। এর দুই দিন পর ভিসি নিজস্ব ক্ষমতাবলে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছিলেন।
সিন্ডিকেট সদস্য ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আমজাদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রলীগ নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় এক ছাত্রীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৈঠকের অন্য সিদ্ধান্তগুলো হলো, সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ও সেলিনা হোসেনকে ডি লিট উপাধি প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে ঠিকাদার নিয়োগে ই-টেন্ডার পদ্ধতি চালু, শিক্ষকদের জন্য ঢাকায় গেস্ট হাউজ কেনা এবং নগরীর ঐতিহ্যবাহী বড়কুঠি (ডাচকুঠি) ভবনের মালিকানা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাখা।
বড়কুঠি পাচ্ছে না রাসিক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫৩ সালে যাত্রা শুরু করেছিল রাজশাহী নগরের ঐতিহ্যবাহী বড়কুঠি ভবনে। পরে মতিহারে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস স্থানান্তর করার পর পদ্মাপাড়ে অবস্থিত বড়কুঠি ভবনটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব স্থাপন করা হয়। সম্প্রতি বড়কুঠি ভবনটি নিজেদের তত্ত্বাবধানে নিয়ে তার ‘উন্নয়ন’ করার প্রস্তাব দেয় রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। মঙ্গলবারের সিন্ডিকেট সভায় ঐতিহ্যবাহী এই ভবনটি রাসিকের অধীনে দেয়ার বিরোধিতা করেন সিন্ডিকেট সদস্যরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই থাকছে বড়কুঠি ভবন।
সিট বাণিজ্য নিয়ে ছাত্রলীগের মারামারি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধর করেছে অন্য গ্রুপের কর্মীরা। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে হল গেটে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি মীমাংসায় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ফোকলোর চত্বরে দ্বিতীয় দফায় মারামারির ঘটনায় দু’জন আহত হয়। মারধরের শিকার মিলন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে হল ছাত্রলীগ নেতা মিলন তার এক ছোট ভাইকে হলের ৩৫৮ নম্বর কক্ষে ওঠানোর জন্য নিয়ে যায়। ওই কক্ষে কাজী বাহার নামে এক ছাত্রলীগকর্মী তার অনাবাসিক বন্ধু ওলিউল্লাহকে উঠায়। এসময় মিলন ওলিউল্লাহকে হল থেকে নেমে যেতে বললে বাহার বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর কিছুক্ষণ পর হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সেজান মাহমুদের সহযোগী আরিফুল ইসলাম রাহাত, ফুয়াদ, সন্দনসহ কয়েকজন মিলনকে হল গেটের সামনে মারধর করে।
এরপর রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খালিদ হসান বিপ্লব মীমাংসার জন্য মিলন ও অপরপক্ষের নেতাকর্মীদের ডেকে নেন। সেখানে কথা বলার একপর্যায়ে মিলন রাহাতকে ঘুষি মারেন। এসময় সেজান ও রাহাতসহ কয়েকজন মিলনকে ইট ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে মিলনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাবিতে তিন ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কৃত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ