নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানে ৭ উইকেটের পথে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬০০ উইকেট ছুঁয়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। উপলক্ষ্যটি আরও স্মরণীয় করে রাখলেন এই বাঁহাতি স্পিনার ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে। তবে তার দিনে ব্যাট হাতে আলোচ্ছ্বটা কিছুটা নিজের দিকে করে নিলেন মেহেদী হাসান। তার দূর্দান্ত সেঞ্চুরিতে লিড নিয়েছে খুলনা।
মেহেদি হাসান যখন উইকেটে গেলেন, দল ততক্ষণে হারিয়ে ফেলেছে ৬ উইকেট। একটু পর আরও দুই উইকেট হারিয়ে রান দাঁড়াল ৮ উইকেটে ৮০। লিড পাওয়া তো বহুদূর, দলের একশ হওয়া নিয়েই টানাটানি। সেখান থেকে অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে খুলনাকে লিড এনে দিলেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। পরে বল হাতে খুলনা অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক পূর্ণ করলেন ম্যাচে ১০ উইকেট।
গতকাল জাতীয় লিগের প্রথম স্তরের ম্যাচে আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে মেহেদি খেলেছেন ১১৯ রানের ইনিংস। মিরপুরে রংপুরের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে খুলনা তুলেছে ২৩৩ রান। আগের দিন রংপুর করেছিল ২২৪ রান। শেষ সেশনে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে রংপুর দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে রংপুর এগিয়ে কেবল ৫৮ রানে। প্রথম ইনিংসের ৭টির সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে এর মধ্যেই ৩ উইকেট যোগ করে ফেলেছেন রাজ্জাক। ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করলেন রাজ্জাক এই নিয়ে ১১ বার। তৃতীয় দিনেও রংপুরের মূল চ্যালেঞ্জ হবে হয়তো তাকে সামলানোই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের প্রথমবার ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন তরুণ পেসার রবিউল হক।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৬ রান করেছে চট্টগ্রাম। প্রথম ইনিংসে ৪০৩ রানে অলআউট হওয়া মেট্রোর চেয়ে এখনও ২১৬ রানে পিছিয়ে আছে তারা। ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন শরিফুল্লাহ। ৩৪ রানে ৩টি নেন তাসকিন। বাঁহাতি স্পিনার আসিফ হাসান ৭ রানে নেন ২ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসেও একটি উইকেট পান তাসকিন।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ রাউন্ডে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ১৬০ রানের লিড পেয়েছে সিলেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ১২ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করে বরিশাল। এখনও তারা ১৪৮ রানে পিছিয়ে, হাতে আছে ৯ উইকেট। প্রথম দিন ইবাদতের ৫ উইকেটে ১৬২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বরিশাল। জবাবে ১ উইকেটে ৮১ রান তুলে দিন শেষ করেছিল সিলেট।
কক্সবাজার একাডেমি মাঠে আগের দিন বোলিংয়ে আলো ছড়ানোর পর ব্যাটিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দিলেন শুভাগত হোম চৌধুরী। অন্যপাশে সঙ্গী হিসেবে পেলেন তাইবুর রহমানকে। মিডল অর্ডারে এই দুই ব্যাটসম্যানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে রাজশাহীর বিপক্ষে লিড নিয়েছে ঢাকা।
৪ উইকেটে ২৮৪ রান তুলে জাতীয় লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ঢাকা। ৬ উইকেট হাতে রেখে তাদের লিড ৫৪ রানের। তাইবুর ৯৩ ও শুভাগত ৯২ রানে ব্যাট করছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর-খুলনা, মিরপুর
রংপুর ১ম ইনিংস : ২২৪।
খুলনা ১ম ইনিংস : ৭১ ওভারে ২৩৩ (আগের দিন ২৪/২) (এনামুল ২১, ইমরুল ৬, মেহেদি ১১৯, রুবেল ৩৬*; রবিউল ৫/৪১, মুকিদুল ২/৭১, সাজেদুল ২/১৯, আরিফুল ১/১১, রিশাদ ০/৩৪)।
রংপুর ২য় ইনিংস : ২৬ ওভারে ৬৭/৪ (মারুফ ২৩, সোহরাওয়ার্দী ২৪, নাঈম ১১, নাসির ০*; হালিম ১/৬, রাজ্জাক ৩/১২)।
বরিশাল-সিলেট, কক্সবাজার-১
বরিশাল ১ম ইনিংস : ১৬২।
সিলেট ১ম ইনিংস : ১১৩.১ ওভারে ৩২২ (আগের দিন ৮২/১) (শানাজ ৭৩, এনামুল জুনি. ১৬, তৌফিক ২০, জাকির ৫৩, কাপালি ২৯, জাকির ৩৫; রাব্বি ১/৪৬, তানভীর ১/৪১, মনির ৩/৬৯, সোহাগ ১/৫৬, রাফসান ১/৬, আশরাফুল ১/৫৩, নুরুজ্জামান ১/১৯)।
বরিশাল ২য় ইনিংস : ৬ ওভারে ১২/১ (আশরাফুল ২*, ফজলে মাহমুদ ৭; আবু জায়েদ ১/৭)।
চট্টগ্রাম-ঢাকা মেট্রো, চট্টগ্রাম
ঢাকা মেট্রো প্রথম ইনিংস : (আগের দিন ৩৫৭/৪) ১০৮.৪ ওভারে ৪০৩ (সাদমান ১৭৮, শামসুর ৫০, মার্শাল ৪০, আল আমিন ৮৩; হাসান ৩/৭২, ইফরান ২/৬৬, নাঈম ২/১১১, মেহেদী ১/৫৯, আফ্রিদি ২/৭০)।
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস : ৩০.৫ ওভারে ৯১ (সাদিকুর ২২, ইরফান ১০, পিনাক ১২, তাসামুল ২, ইয়াসির ৬, মাহিদুল ১, নাঈম ১২, মেহেদী ১, ইফরান ৮, হাসান ৯*, আফ্রিদি ২; তাসকিন ৮-১-৩৪-৩, শরিফুল্লাহ ১৫-৪-৩০-৪, শহিদুল ৪-০-১৫-১, আসিফ ৩.৫-০-৭-২)।
চট্টগ্রাম ২য় ইনিংস : ৩৪ ওভারে ৯৬/৩ (সাদিকুর ১১, মাহিদুল ১০, পিনাক ৫৫*, তাসামুল ১৪*; তাসকিন ১/১৬, শরিফুল্লাহ ১/২৩, আল আমিন ১/১৮)।
রাজশাহী-ঢাকা, কক্সবাজার-২
রাজশাহী ১ম ইনিংস : ৮৬.১ ওভারে ২৩০। ঢাকা ১ম ইনিংস : ৯১ ওভারে ২৮৪/৪ (মজিদ ১৬, সাইফ ২৮, জয়রাজ ২১, রকিবুল ২৯, তাইবুর ৯৩*, শুভাগত ৯২*; সানজামুল ৩/১০৬, সাকলাইন ১/৮৬)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।