নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২ বছরের নিষেধাজ্ঞার ১ বছর স্থগিত। সামনে আইসিসির আর কোনো বিধি না ভাঙলে ও শর্ত অনুযায়ী আইসিসির শিক্ষামূলক আয়োজনে অংশ নিলে সাকিব আল হাসান মাঠে নামতে পারবেন ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর। তবে এই এক বছরে ৩৬টি ম্যাচ বাংরাদেশ দলকে খেলতে হবে দেশসেরা তারকাকে ছাড়াই। যার মধ্যে আছে টি-২০ বিশ্বকাপও! সেই ফারা কাটানোর পথ খুঁজছে বিসিবি। বাস্তব সম্ভাবনা খুব সামান্য। সুযোগও খুব একটা নেই। তারপরও সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কোনোভাবে খানিকটা হলেও কমানো যায় কিনা, সেটি খতিয়ে দেখছে বিসিবি। বোর্ডের আইনী দল কাজ করছে সেটি নিয়ে।
সাকিব আইসিসির এই শাস্তি মেনে নিয়েছেন। তাই আপিলের কোনো সুযোগ এখানে নেই। তারপরও কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞার সময় কমানোর সুযোগ আছে কিনা, সেটি বোর্ড গভীরভাবে দেখছে বলে জানালেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, ‘যেহেতু সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার এটা মেনে নিয়ে চুক্তির মধ্যে চলে গেছেন, বিষয়টায় আসলে বিসিবির করার সুযোগ সীমিত। তারপরও অবশ্যই আমরা আইনগত বিষয়গুলো দেখব, কতটা কাজ করার সুযোগ আছে এখানে। আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের লিগাল ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দেখছে। এখানে আদৌ কোনো সুযোগ আছে কিনা, এটি আমরা কথা বলে দেখব।’
শর্ত সব ভালোভাবে মানলে শাস্তি কিছুটা শিথিল করার নজির আছে ক্রিকেটে। তবে সেটি দীর্ঘমেয়াদী নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে সাধারণত করা হয়। সাকিবের ক্ষেত্রে তাই সেই বিবেচনাও সামান্য। ঘরোয়া ক্রিকেটে কয়েক মাস আগে ফেরার অনুমতি পাওয়ার মতো কোনো সুযোগ অবশ্য থাকতে পারে। তবে সেটিও বোঝা যাবে আরও কিছুদিন পর।
আইসিসির শর্ত অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কার্যক্রমগুলোতে নিয়মিত অংশ নিয়ে সাকিব আইসিসিকে সন্তুষ্ট করতে পারলে শাস্তির মেয়াদ কিছুটা কমে এলেও আসতে পারে। এমন উদাহরণ অতীতেও আছে। পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমিরের ক্ষেত্রেই সেটি হয়েছে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন আমির, সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফ। তবে শাস্তির মেয়াদ কমায় নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগেই আমির ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে পেরেছিলেন।
সাকিবের ক্ষেত্রেও সে রকম কিছুর আশা করাই যায়। বিশেষ করে তিনি যেহেতু শুরুতেই ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন এবং তদন্তেও আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। সাকিবের ভুলের মাত্রাও আমির-বাটদের তুলনায় অনেক গৌণ। এখন আইসিসির শর্ত অনুযায়ী দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমগুলো ঠিকঠাকভাবে করলে বিসিবির জন্য সুযোগ তৈরি হতে পারে বিষয়টি নিয়ে আইসিসিতে দেনদরবার করার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।