Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রধানমন্ত্রীকে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মোবারকবাদ

এমপিওভুক্তির ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

নতুন করে ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত ঘোষণা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছে দেশের মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের একমাত্র পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন।

গতকাল (রোববার) এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গে ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন এক অধ্যায় উন্মোচন করলেন। নিঃসন্দেহে তাঁর এ মহৎ উদ্যোগ প্রশংসার দাবী রাখে। এর ধারা অব্যাহত রেখে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আওতায় আনবেন বলে নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাথে সাথে জমিয়াত নেতৃবৃন্দ দেশের সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দীর্ঘ নয় বছর পর একসাথে এতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অধীনে এনে প্রধানমন্ত্রী জনমনে যে জায়গা করে নিয়েছেন ভবিষ্যতে চাকরি জাতীয়করণ করলে তা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তাঁর নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

ইবতেদায়ী স্তরের শিক্ষা ধারার বিষয়ে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও মহাসচিব আরো বলেন, যুগযুগ ধরে মাদরাসা শিক্ষা ধারার প্রাথমিক স্তর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকগণ সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন, কাজেই প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত ২০১৮ সালের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার নীতিমালা অনুযায়ী অনতিবিলম্বে ঐসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বেতন স্কেলের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি। জমিয়াত নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারবর্গের সুস্থতা ও নেক হায়াত কামনা করে আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন।

গত ২৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে নতুন করে ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত ঘোষণা করেন। #



 

Show all comments
  • Mizanur Rahman Afroz ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৫১ এএম says : 0
    আমার মনে হয় নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুযায়ী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি করা প্রয়োজন।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Jubaier Ahmed ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৫১ এএম says : 0
    এভাবেই একটি একটি করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আমলে নিয়ে সিদ্ধান্ত কার্যকরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি উপযুক্ত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে এই সরকার ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • Debatosh Roy ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৫১ এএম says : 0
    একটি নতুন সিদ্ধান্ত, অনেক পরিবারের আশার আলো জালায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Hashem ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৫২ এএম says : 0
    যে সব প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে সে সব প্রতিষ্ঠান এমপিও দিতে হবে। কারন সকল শিক্ষক বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের তো চাকুরি পাওয়ার অধিকার আছে।আর শিক্ষক গন সবাই শিক্ষিত। শিক্ষার শেষে সনদ দেওয়া হল অথচ চাকুরি দেওয়া হবেনা তাহলে এ সার্টিফিকেট দিয়ে,কি হবে? শিক্ষিত সকল কে চাকুরি দেওয়া প্রত্যেক সরকারের একান্ত দায়িত্ব যা অন্যান্য দেশে দেখতে পারা যায়।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ তোফায়েল হোসেন ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৫৬ এএম says : 0
    মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বার্থে কাজ করায় অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনকে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • মিনহাজ উদ্দিন রিমন ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৫৬ এএম says : 0
    ভালো কাজের প্রশংসা করা ভালো। তবে সাথে অন্যায়ের প্রতিবাদও করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md ahsan ullah ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:৪১ এএম says : 0
    জুলাই-১৮,প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মাদ্রাসায় সৃষ্ট নতুন পদ সমুহের নিয়োগের ক্ষেত্রে মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা জারির ব্যপারে একটু ভূমিকা নিলে অনেকে উপকৃত হতেন।আপনাদের প্রতি অনুরোধ রইল।
    Total Reply(0) Reply
  • পাবেল ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ৯:৫৯ এএম says : 0
    দীর্ঘ নয় বছর পর একসাথে এতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অধীনে এনে প্রধানমন্ত্রী জনমনে যে জায়গা করে নিয়েছেন ভবিষ্যতে চাকরি জাতীয়করণ করলে তা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • নূরুল্লাহ ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:৫৯ পিএম says : 0
    বাঙালিরা কেনো মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, এই প্রশ্ন আজ বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় এক কমিউনিস্টের লেখা পড়লাম। পত্রিকাটিতে প্রতি সোমবার তার লেখা, বৃহঃস্পতিবারে তসলিমার লেখা ছাপা হচ্ছে। যাহোক এটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার, পাঠকের এ বিষয়ে নাক গলানোর কি অধিকার। এদের রচনার চিরাচরিত বিষয় যা হয়ে থাকে, ইসলাম সম্পর্কে, বাংলাদেশ রাষ্ট্র সম্পর্কে, এখানকার মুসলমান সম্পর্কে কটুকাটব্য আর দুএকটি গালমন্দ। ইদানীং তসলিমার লেখায় গোয়েন্দাগিরিভাব গোচরীভূত হচ্ছে। কে জানে বিদেশি কোনো গোয়েন্দা সংস্থার নেগরানিতে লিখছে কিনা। যাহোক আজকের লেখকের একটি কথা আমি পড়ে যারপরনাই হতভম্ব হলাম। যদিও এগুলো চর্বিতচর্বণ তবুও আমার প্রতিক্রিয়া জ্ঞাপনের বাসনা হলো। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্মকে স্বীকার করা হলে স্বাধীনতার কোনও অর্থ হয় না। ধর্মের কথা পাকিস্তানের সংবিধানেও ছিল। তার ভাষণ শোনে মনে হয়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল পাকিস্তানের ধর্ম অর্থাৎ ইসলামের ধারাটি সংবিধান হতে উৎপাটনের লক্ষে অথবা বলতে পারি ইসলামকে ঠেকাতেই এ যুদ্ধ হয়েছিল। আমি ভেবে হয়রান কী ধরনের বিকৃতি পত্রিকায় ছাপা হয়ে যায়। আমার জানামতে কমিউনিস্টরা যুদ্ধে অংশ নেয়নি। নাস্তিকদের একজন মুরুব্বি আহমদ শরিফ তার পুঁথির গবেষণাকে ইসলামের খেদমত বলে পাকিস্তানের সেনাদের দেখিয়েছিল। এবং যারা সরাসরি যুদ্ধ করেন, নেতৃত্ব দেন তাদের মধ্যে আমাদের আত্মীয়স্বজন রয়েছেন তারা জানতেন, এই যুদ্ধ হচ্ছে শোষণের বিরুদ্ধে, বর্বরতার বিরুদ্ধে, নারির সম্ভ্রম রক্ষার জন্য, পূর্বপাকিস্তানের মুসলমানসহ সমস্ত জাতিগোষ্ঠীর স্বাধিকার কায়েম করার জন্য। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে যেসব বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুলে ধরা হতো, মুক্তির যে ছয় দফা উত্থাপিত হলো, তৎকালে অনেক ব্যাক্তিরই ব্যক্তিগত ডায়েরিতে তা লেখা হতে দেখেছি, তার কোথাও ইসলাম বা অন্যকোন ধর্মের বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য দেখিনি, এমনকি পাশ্চাত্যের যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা আজকাল বলা হচ্ছে তাও না। উপরন্তু বঙ্গবন্ধু যখন সংবিধান রচনার জন্য কমিটি গঠন করলেন, সন্দেহ নেই এরা মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামীলীগেরই লোকজন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সাক্ষী মতে সেখানে কয়দিন পর্যন্ত তুমুল বিতর্ক চলে দেশের আইন ও সংবিধান ইসলামসম্মত হওয়া উচিত এ নিয়ে। (এর থেকে বুঝা যায়, মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট ইসলাম কখনও বিরোধী পক্ষ ছিল না। বরং মুক্তিযোদ্ধাদের দুঃখ ছিলো জামাতে ইসলামির মতো কিছু সংগঠনের বিরোধিতায়, যারা ইসলামের কথা বলে রাজনীতি করে। আজকার বুদ্ধিজীবিরা মুক্তিযোদ্ধাদের ইসলামের শত্রু বলে উল্লেখ করতে চায় অথচ যুদ্ধের ময়দানে ইসলাম ছিলো তাদের প্রেরণা, এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রাণপুরুষ স্বয়ং বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন ধার্মিক মুসলমান। আজকাল বুদ্ধিজীবীর দল কত কি পড়ে, কত স্তবক আওড়ায় কিন্তু কুরআন কারিমের একটি লাইন শুদ্ধ করে পড়ার যোগ্যতা তাদের হয় না, অথচ আমাদের বঙ্গবন্ধু জেলখানায় বসে নিয়মিত কুরআন পড়তেন, তাফসির অধ্যয়ন করতেন। তিনিই বিভ্রান্ত বুদ্ধিজীবিদের হাত থেকে বাংলাদেশরের শিক্ষাব্যবস্থা রক্ষা করেন, ওদের মুকাবিলা করে স্কুলে তিনি কুরআন হাদীস শেখা বাধ্যতামূলক করেন, মাদরাসা শিক্ষা অনুমোদন করেন।) শেষপর্যন্ত রাশিয়া ও ভারতের হস্তক্ষেপে সেটি শতভাগ সফল হয়নি এবং ধর্মনিরপেক্ষতা জায়গা পেয়ে যায় তা অন্য ব্যাপার। কিন্তু আজ এতদিন পর স্বাধীনতা অর্থবহ হতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করছি সেই সঙ্গে ইসলামও তার মর্যাদায় আসীন হবে মনে করি এবং শেখ হাসিনা অতীত রাজনৈতিক ভুল কাটিয়ে উঠছেন বলে আমরা ভাবছি এমন সময় এই বুদ্ধিজীবি কল্পবিলাসি ব্যাক্তিরা আমাদের কী সব সবক দিচ্ছে?!! আমার খুবই আফসোস হয়, মুক্তিযুদ্ধাদের জীবৎকালেই মুক্তিযুদ্ধের হাজার রকম ব্যাখ্যা হলো, হাজার ইতিহাস রচিত হলো, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা তা খণ্ডনের প্রয়াস পেলেন না। অথচ এও এক কাজ ছিল। তবে আমি খুব খুশি, মুক্তিযুদ্ধের একটি নিরপেক্ষ সরকারি ইতিহাস সংকলন হয়েছে আটহাজার পৃষ্ঠায়, এ বইয়ে এমন কিছু আছে যা মুক্তিযুদ্ধের বর্তমান ব্যাখ্যাতাগণের অনেক দাবিদাওয়া মিথ্যা প্রমাণিত করে, ধাপ্পাবাজি ধরিয়ে দেয়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জমিয়াতুল মোদার্রেছীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ