নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিকেলে হঠাৎ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন। যার শুরুতেই কাজী সালাউদ্দিন থমকে দিলেন গণমাধ্যমকে, ‘পল স্মলি আজ (গতকাল) রাতেই ইংল্যান্ড চলে যাচ্ছে। আর ফিরবেন না।’ তার মানে, দেশের ফুটবল যখন একটি পথের দিশা খুঁজে পেয়েছে ঠিক তখনই জাতীয় ফুটবল দলের টেকনিক্যাল ও স্ট্র্যাটেজিক ডাইরেক্টর পদের চুক্তি নবায়ন না করেই ফিরে গেছেন এই ইংলিশ।
বাফুফে সভাপতির বেশ অনুগত ছিলেন পল। তার নির্দেশনাতেই গত তিন বছর ফুটবলের অনেক কাজই হয়েছে। হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত কেন? এর উত্তরে বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘তার সাথে আমাদের আনুষ্ঠানিক চুক্তি শেষ। আমরা নবায়ন করতে চেয়েছিলাম। আমার সভাপতির মেয়াদ শেষ এপ্রিলে। মাত্র ছয় মাস বাকি। এত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সে চুক্তি করতে রাজী হননি। এজন্য তিনি চলে যাচ্ছেন।’ গত নির্বাচনে তৃতীয় মেয়াদে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় সালাউদ্দিন বলেছিলেন, ‘এটাই শেষ মেয়াদ।’ কিন্তু গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বারবারই বলেছিলেন, ‘আমি যদি আবার সভাপতি হতে পারি তাহলে আবার পল আসবে। সে যেখানেই থাকুক এপ্রিলের পর চুক্তি ভঙ্গের শর্তেই যাচ্ছে।’
পল স্মলি ২০১৬ সালে আগষ্টে বাংলাদেশের ফুটবলে এসেছিলেন। গত তিন বছরে দেশের পুরো প্রক্রিয়া ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বাফুফে ক্যালেন্ডারও করেছিলেন। কিন্তু সেই পঞ্জি অনুসরণ হয়নি সেভাবে। এতে খানিকটা অস্বস্তি নিয়েই যাচ্ছেন এই বৃটিশ, ‘ক্যালেন্ডার অনুসরণ হলে আরো কিছু উন্নতি ও পরিবর্তন পরিলক্ষিত হতো। কিন্তু একটি ক্যালেন্ডারের সাথে অনেক বিষয় জড়িত। সামগ্রিক বাস্তবতায় বাফুফে পারেনি হয়তো সামঞ্জস্য করতে।’ পল স্মলি গত তিন বছর মহিলা দল নিয়েই বেশি কাজ করেছে। মহিলা দল সাম্প্রতিক সময়ে খানিকটা ভালো ফলও পাচ্ছে। পলের চলে যাওয়ায় মহিলা দল অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেটা মনে করেন সভাপতি, ‘অবশ্যই মহিলা দলের কার্যক্রম কিছুটা ছন্দহীন হবে। আমরা দ্রুত এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব।’ আগামী নির্বাচনের আগে নতুন কোনো ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর নিয়োগ না দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি, ‘অতি স্বল্প মেয়াদে কেউ কাজে আগ্রহী না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এরপরও আমরা দেখব।’
পল স্মলির পারফরম্যান্সে বাফুফে সভাপতি খূশি হলেও বাফুফের অনেক কর্মকর্তাই অখুশি। গত তিন বছরে বাংলাদেশের ফুটবলে তেমন পরিবর্তন আনতে পারেননি তিনি বিশেষ করে ছেলেদের প্রতিযোগিতায়। এক সূত্রের খবর, কয়েক দিন আগে বাফুফের অর্থ কমিটির সভায় পল স্মলির চুক্তি নবায়ন নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ হয়। পল স্মলির বেতন দ্বিগুণের প্রস্তাব নাকচ করে দেয়া হয়।
পল স্মলি যাবার আগে বাংলাদেশের ফুটবলকে শুভ কামনা জানিয়ে গেছেন, ‘বাংলাদেশে মেধাবী কোচ রয়েছে অনেক। তারা ভালো করবে। আমার অধীনস্থ কোচদের পরামর্শ দিয়েছি। আমরা সাহায্যের দরজা তাদের জন্য সব সময়ই খোলা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।